বুধবার (৫ জুলাই) সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার দশমিক ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, জুন মাসের শুরু থেকে তিস্তার পানি বাড়া-কমার মধ্যে আছে। গত সোমবার (১৯ জুন) তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। এরপর মঙ্গলবার (২০ জুন) থেকে পানি আরও কমতে শুরু করে স্বাভাবিক হলেও আজ আবার বেড়েছে।
এদিকে ডিমলা উপজেলার তিস্তা নদীগর্ভের বেশ কয়েকটি এলাকাসহ উপজেলার কালিগঞ্জ, ঝারসিংহেসর, খগারচর, জুয়ার চর, বাংলাপাড়া, উত্তর খড়িবাড়ী, বাইশপুকুর ও জলঢাকা উপজেলার ফরেস্টের চর, ভাবনচুর,ডাউয়াবাগড়িসহ বেশ কয়েকটি চরে পানি উঠেছে। তবে পানি বাড়লেও বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি কমাতে গ্রাম পুলিশ দিয়ে স্থানীয়দের সতর্ক করেছে উপজেলা প্রশাসন। কিছু কিছু নদীগর্ভে ভাঙন শুরু হয়েছে।
টেপাখড়ি বাড়ি ইউনিয়নের সদস্য সফিয়ার রহমান বলেন, আমার এলাকার কিছু কিছু নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী গর্ভে যারা আছে তারা পানিবন্দি হয়ে আছেন।
ডিমলার ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বলেন, আমরা সতর্ক রয়েছি। পানি বেড়ে নদী গর্ভে কিছু বাড়িতে পানি উঠে। উপজেলা। প্রশাসনের নির্দেশে রাতেই আমরা তাদের সতর্ক থাকার জন্য বলেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী ভারতের দোমোহনিতে উজানের ঢলে পানি বাড়ায় ২৪ ঘণ্টা পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল। এ জন্য আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম পুলিশ দিয়ে স্থানীয়দের সতর্ক করেছি। বন্যা মোকাবেলায় আমরা সার্বক্ষণিক চেষ্টা করছি।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, পানি রাত থেকে বাড়তে শুরু করে। সকাল ৬ টায় বিপৎসীমা অতিক্রম করে ৫২ দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুপুর হতে হতে পানি কমে যাবে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা মানুষকে সচেতন করেছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড তা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।