ডিএসইতে ফের কারিগরি বিভ্রাট, ব্যবস্থা নেবে বিএসইসি

ডিএসইতে ফের কারিগরি বিভ্রাট, ব্যবস্থা নেবে বিএসইসি

পূর্বের কারিগরি ত্রুটির ঘটনা তদন্ত শেষ না হওয়ার মধ্যেই পরপর দুই দিন লেনদেনে বিভ্রাটের কবলে পড়লো দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। মঙ্গল ও বুধবার পরপর দুই দিনই শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করতে গিয়ে সমস্যা ভোগেন এক্সচেঞ্জটির বিনিয়োগকারীরা।


বুধবার লেনদেন শুরু হওয়ার পর থেকে সমস্যাটি মাঝে মাঝেই দেখা দেয়ায় লেনদেন বাধাগ্রস্ত হয় বলে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ জানিয়েছে।


শেয়ার কেনার আদেশ দিয়ে নিস্পত্তির ফল না দেখানো, সূচকের ঘর সাদা হয়ে যাওয়া, ক্রয়-বিক্রয় আদেশ না দেখানো, যে কোনো আদেশের ফলাফল আসতে দেরি করা, লেনদেন নিষ্পত্তি হলেও চূড়ান্ত ফল না দেখানোর মতে ঘটনা ঘটতে থাকে। এভাবেই বুধবার লেনদেন শেষ করে ডিএসই।


জানা গেছে, ডিএসইর লেনদেন সফটওয়্যায়ে ‘ওএমএস (অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম)’ সেবার মডিউল সংযোজন করায় এ সমস্যা দেখা দেয়।


এ বিষয়ে জানার জন্য ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম সাইফুর রহমান মজুমদারকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।


পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, লেনদেনে ত্রুটির বিষয়টি কমিশন জানতে পেরেছে। এ সমস্যার সমাধানে বিএসইসি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কি ধরণের সমস্যা হয়েছে তা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে তথ্য নেওয়া হবে। বিনিয়োগকারীরা যেন নির্বিঘ্নে লেনদেন করতে পারে কমিশন সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।


সম্প্রতি তিনটি ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব ওএমএস ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ডিএসই। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দিয়েছে।


এর মাধ্যমে ডিএসইর সার্ভারে সরাসরি প্রবেশ না করেই ‘ইন হাউস’ ট্রেড করতে পারবে ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানগুলো, যা ডিএসইর মূল লেনদেন সার্ভারের সঙ্গে সময়ে সময়ে তথ্য হালনাগাদ করতে থাকবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে।


নতুন এই সেবা চালু করতে গিয়েই লেনদেন বিভ্রাটে পড়ল ডিএসই। যদিও ডিএসইর লেনদেন বিভ্রাট ও কারিগরি ত্রুটির ঘটনা নতুন নয়। গত বছরও এক সপ্তাহে পরপর দুবার কারিগরি ত্রুটির মধ্যে পড়েছিল এই স্টক এক্সচেঞ্জ।


২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর ৭০টির বদলে সব সিকিউরিটিজের সার্কিট ব্রেকার তুলে দেওয়ায় নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা দেরিতে লেনদেন শুরু করেছিল ডিএসই। পরে ‘ভুলবশত’ হয়েছে বলে স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।


এর তিন কার্যদিবস আগে গত ২৪ অক্টোবর সার্ভারে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় দিনের মধ্যখানে প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ ছিল ডিএসইর লেনদেন। তখন ডিএসই ‘কারিগরি ত্রুটি’র কথা জানিয়েছিল।


ওই ঘটনার পর বিএসইসি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। ডিএসইর পুরো প্রযুক্তি ব্যবস্থার সক্ষমতা যাচাই করতে এ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি এরই মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে সাত মাস পরেও ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা পদে ফিরতে পারেননি।


অর্থসংবাদ/এসএম

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত