২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ ছিলেন ম্যাকেঞ্জি। এই সময়ে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সাত ব্যাটসম্যান ইনিংস প্রতি খেলেছে ৩৪.৬ বল। যা হাথুরুসিংহের সময়ে ছিল ৩৩.৭৪।
হাথুরুসিংহের সময়ে অবশ্য বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ ছিলেন থিলান সামারাবিরা। যদিও দলে হাথুরুর প্রভাবই ছিল সবচেয়ে বেশি। এছাড়া হাথুরুসিংহের সময়ে প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের গড় ছিল ৩৪.২৮, যা ম্যাকেঞ্জির সময়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭.৯৪ এ। এমনকি ম্যাকেঞ্জির সময়ে স্ট্রাইক রেটও উঠে এসেছে ৮৯.৯০ থেকে ৯২.৮ এ।
হাথুরুর কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি পরামর্শ পাওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ গুণগান গাইলেন ম্যাকেঞ্জির। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা ব্যাটিং কোচ ম্যাকেঞ্জি। তরুণ এবং অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের জন্য সে খুবই ইউনিক একজন কোচ। ব্যাটসম্যানদের কোথায় কাজ করতে হবে সেটা নিয়ে সে খুব ভালো করে জানতো। সবার সঙ্গে সে যোগাযোগ করত। এই কারণে সবাই তাঁর সঙ্গে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতো। কারো ব্যাটিং স্টান্স কী হবে, ট্রিগার মুভমেন্ট কী হবে বা স্টাইল কী হবে এই ব্যাপারে সে যথেষ্ট অপশন দিত। আমাদের শুধু এটা নিয়ে অনুশীলন করতে হতো এবং আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে হতো।’
ম্যাকেঞ্জির সময়ে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের ডট বল খেলার পরিমাণও কমে এসেছে। হাথুরুর সময় ৫৬.৩৭ শতাংশ ডট বল খেলতেন তামিম ইকবালরা। ম্যাকেঞ্জির সময়ে সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ৫২.৬০ শতাংশে। ম্যাকেঞ্জি প্রসঙ্গে তামিমের মূল্যায়ন, ‘কোচ আর ব্যাটসম্যানের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করতে সময় লাগে। ব্যাটসম্যানের কোচকে ভরসা করা লাগে। আবার কোচের দিক থেকেও তাই। কারো সঙ্গে এক-দুই বছর কাজ করার পর আবার অন্য কোচের সঙ্গে কাজ করা সহজ নয়। তবে এটাও সত্যি, একজন কোচ সারাজীবন থাকবেন না। তাই আমাদের সেভাবেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কোচ আর ব্যাটসম্যানের সম্পর্ক খুব ভালো হওয়া জরুরি, যেন ব্যাটসম্যান সমস্যায় পড়লে সেটা মন খুলে বলতে পারে।’
২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের আগে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং পরামর্শক হয়েছিলেন ম্যাকেঞ্জি। কিছুদিন আগে ব্যক্তিগত কারণে ইস্তফা দেন তিনি। তাঁর জায়গায় ক্রেইগ ম্যাকমিলানকে ব্যাটিং পরামর্শক করেছে বিসিবি।