নিরাপত্তাসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠকে এসব তথ্য জানিয়েছে এনটিএমসি। গত ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলতি বছর এটিই ছিল কমিটির প্রথম বৈঠক। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা ও বিভিন্ন কমিটির বেশির ভাগ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ করে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কমিটির সংশ্লিষ্ট কেউ। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো মহল যেন দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়ে কমিটিপ্রধান সংশ্লিষ্ট সবাইকে চোখ-কান খোলা রেখে সতর্ক থাকতে বলেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের আড়ালে যেন দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, তা কঠোরভাবে দেখতে বলা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে একটি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম ও তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের বাইরে থেকে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে উসকানিমূলক বক্তব্য।
বেড়েছে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। এসব দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি অর্থ সহায়তাকারী ও পৃষ্ঠপোষকদের তথ্য খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে বৈঠকে জানানো হয়, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী মহল যেন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখাসহ গোয়েন্দা নজরদারি করা হয়েছে এবং তা নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।
গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে কাউন্টার প্রচারণা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয় বৈঠকে। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে অনলাইনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে কী ধরনের পোস্ট, লাইক, কমেন্ট, শেয়ার ও আপলোড স্ট্যাটাস দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়মিত নজরদারি করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচারণাও চালানো হচ্ছে।
গুজবের বিষয়ে এনটিএমসির পক্ষ থেকে বৈঠকে জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিবিড়ভাবে নজরদারি করা হচ্ছে। রাষ্ট্রবিরোধী, মানহানিকর ও জনসাধারণের জন্য ক্ষতিকর কনটেন্টসমূহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচারণা চলছে। এ ছাড়া গুজব ছড়ানোর কাজে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।