ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে যে পণ্য রফতানি হয়ে থাকে তা হলো পাটের সুতা, তাঁতের শাড়ি, মশার নেট, গার্মেন্টস বর্জ্য, মধু, রাইস ব্র্যান অয়েল, মাছ ও বিভিন্ন ধরনের প্রাণের ফুডস সামগ্রী উল্লেখযোগ্য।
তবে ভোমরা স্থলবন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি, সব ধরনের পণ্য আমদানি করার সুযোগ পেলে রফতানির পাশাপাশি পণ্য আমদানিতেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা যেত।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছর এ বন্দর দিয়ে ২ লাখ ৬৭ হাজার ১৮৩ টন বিভিন্ন ধরনের বাংলাদেশী পণ্য রফতানি হয়, যার মূল্য ৩ হাজার ২১ কোটি ৪ লাখ ১৫ হাজার ১৫২ টাকা, যা তার আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৮২ কোটি ৫৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪৫১ টাকা বেশি। সূত্রটি জানায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে এ বন্দরে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রফতানি হয় ২ লাখ ৬২ হাজার ৩১৯ টন, যার রফতানি মূল্য ২ হাজার ৭৩৮ কোটি ৫০ লাখ ২৬ হাজার ৭০১ টাকা।
ভোমরা স্থলবন্দরের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স গনি অ্যান্ড সন্সের ব্যবস্থাপক অশোক কুমার জানান, তার প্রতিষ্ঠান আমদানির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পণ্য রফতানি করে। বিগত ২০২২ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩ অর্থবছরে অন্তত ২০-২৫ শতাংশ পরিমাণ পণ্য রফতানি বেশি হয়েছে তার প্রতিষ্ঠানে।
বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজি নওশাদ দিলওয়ার রাজু জানান, শুধু রফতানি নয় আমদানিতেও ব্যাপক সম্ভাবনা ভোমরা স্থলবন্দর। এ বন্দরে ৭৪টি পণ্য আমদানির অনুমোদন রয়েছে। তবে ভোমরা বন্দরের যাত্রা শুরু থেকে নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার। পার্শ্ববর্তী বেনাপোল বন্দরে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা পায়, তার কিছুই দেয়া হয় না ভোমরা বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের।
সাতক্ষীরা জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু জানান, পণ্য আমদানি রফতানিতে খুবই সম্ভাবনাময় ভোমরা স্থলবন্দর। এ বন্দরের সক্ষমতা বাড়ালে পণ্য আমদানি-রফতানিতে দেশের অন্যান্য বন্দরের চেয়ে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বে থাকা কাস্টমস ডেপুটি সহকারী কমিশনার নেয়ামুল হাসান জানান, পণ্য আমদানি-রফতানিতে কাস্টমসের পক্ষ থেকে স্বচ্ছতা বজায় রেখে ব্যবসায়ীদের সর্বাত্মক সেবা প্রদান করা হয়। যে কারণে অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে রফতানি আয় বেড়েছে। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
অর্থসংবাদ/এসএম