সরকারি চাকুরের প্রণোদনা সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা করার প্রস্তাব

সরকারি চাকুরের প্রণোদনা সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা করার প্রস্তাব

দেশে চলমান মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় রেখে বেতনের সাথে সরকারি কর্মচারীদের কমপক্ষে এক হাজার টাকা প্রণোদনা দিতে চায় অর্থবিভাগ।


২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পাশের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতনের ৫ শতাংশ বাড়তি প্রণোদনা দেওয়ার সুপারিশ করেন।


সে অনুযায়ী প্রণোদনা হিসাব করতে গিয়ে দেখা গেছে ২০তম গ্রেড থেকে ১১তম গ্রেডের কর্মীদের মূল বেতন অনুযায়ী প্রণোদনা দেওয়ার পর ৪১২ টাকা থেকে ৬২৫ টাকা পর্যন্ত বাড়বে বেতন।


বর্তমান মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় অর্থবিভাগ মনে করছে বাড়তি প্রণোদনা কমপক্ষে এক হাজার টাকা হওয়া উচিত। সেজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সম্প্রতি বাড়তি প্রণোদনা কমপক্ষে এক হাজার টাকা করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে।


একইসঙ্গে এই প্রণোদনা পরবর্তী বছরেও অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করেছে তারা। অর্থবিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।


সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী হিসাব করে দেখা গেছে, ১১তম গ্রেডের চাকরিজীবীরা ৬২৫ টাকা প্রণোদনা পাবেন।


দ্বাদশ গ্রেডে ৫৬৫, ত্রয়োদশ গ্রেডে ৫৫০, চতুর্দশ গ্রেডে ৫১০, পঞ্চদশ গ্রেডে ৪৮৫, ষষ্ঠদশ গ্রেডে ৪৬৫, সপ্তদশ গ্রেডে ৪৫০, অষ্টাদশ গ্রেডে ৪৪০, উনবিংশতম গ্রেডে ৪২৫ টাকা এবং শেষ, অর্থাৎ বিংশ গ্রেডের চাকরিজীবীরা ৪১২ টাকা ৫০ পয়সা প্রণোদনা পাবেন।


একইভাবে প্রথম গ্রেডের চাকরিজীবীরা মূল বেতনের ৭৮ হাজার টাকার ৫ শতাংশ হিসেবে বাড়তি প্রণোদনা পাবেন ৩ হাজার ৯০০ টাকা। দ্বিতীয় গ্রেডে মূল বেতন শুরু হয় ৬৬ হাজার টাকা দিয়ে। এ ধাপে চাকরি করতে করতে প্রতিবছর ৫ শতাংশ বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির শেষ মূল বেতন দাঁড়ায় ৭৬ হাজার ৪৯০ টাকা। শুরুর মূল বেতনকে ভিত্তি করলে প্রণোদনা পাওয়া যাবে ৩ হাজার ৩০০ টাকা। আর শেষ মূল বেতনকে ভিত্তি ধরলে প্রণোদনা যোগ হবে ৩ হাজার ৮২৫ টাকা।


এছাড়া তৃতীয় গ্রেডের শুরুর মূল বেতন ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা অনুযায়ী প্রণোদনা পাওয়া যাবে ২ হাজার ৮২৫ টাকা। ঠিক এভাবে শুরুর মূল বেতন ধরে হিসাব করে দেখা যায়, চতুর্থ গ্রেডে ২ হাজার ৫০০ টাকা, পঞ্চম গ্রেডে ২ হাজার ১৫০, ষষ্ঠ গ্রেডে ১ হাজার ৭৭৫, সপ্তম গ্রেডে ১ হাজার ৪৫০, অষ্টম গ্রেডে ১ হাজার ১৫০, নবম গ্রেডে ১ হাজার ১০০ টাকা বাড়বে।


প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের পাশাপাশি রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এ প্রণোদনা দেওয়া যেতে পারে।


জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ প্রস্তাব অনুমোদন হলে অর্থ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করবে।


অর্থবিভাগের চেষ্টা রয়েছে জুলাইয়ের শেষে যে বেতন দেওয়া হবে, সেই সাথে প্রণোদনার বাড়তি টাকা কর্মচারিদের অ্যাকাউন্টে জমা করা।


অর্থবিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, "হিসাব করে দেখা গেছে নিম্নতম গ্রেডের কর্মীদের বেতন খুবই কম বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা মূল্যস্ফীতির তুলনায় যৎসামান্য। এজন্য কমপক্ষে এক হাজার টাকা প্রণোদনা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। আশা করা যায় প্রস্তাবটি অনুমোদন পাবে।"


অর্থসংবাদ/এসএম

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো
পোশাকশিল্পকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানানোর অনুরোধ
এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ