১. বাংলাদেশের নাগরিক।
২. বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর।
৩. যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি ।
শুল্ক-কর দেওয়া সব সময়েই ঝক্কি–ঝামেলার কাজ। অনেক প্রতিষ্ঠান নিজেদের ভ্যাটের হিসাবপত্র রেখে সরকারি কোষাগারে ভ্যাটের টাকা জমা দেওয়ার মতো জটিল কাজে যেতে চায় না। অনেকেই পেশাদার ভ্যাট পরামর্শক নিয়োগ দেন কিংবা পরামর্শকের সহায়তা নেন। নতুন ভ্যাট আইন চালু হওয়ায় এ পেশার গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে।
আপনি কি মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট পরামর্শক হতে চান? আপনি যদি স্নাতক ডিগ্রিধারী হন, তাহলে ভ্যাট পরামর্শক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছেন। তবে ভ্যাটসহ রাজস্ব খাত সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। কারণ, আপনাকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হবে। পরীক্ষায় পাস করলেই কেবল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পেশাদার লাইসেন্স দেবে।
এনবিআর বলছে, ভ্যাট পরামর্শক হতে আবেদনকারীর মোটা দাগে তিন ধরনের যোগ্যতা থাকতে হবে। প্রথমত, বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। দ্বিতীয়ত, বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর হতে হবে। তৃতীয়ত, যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে।
তবে সরকারি বা স্থানীয় কোনো কর্তৃপক্ষ চাকরিরত, চাকরি থেকে অপসারিত বা বরখাস্ত কোনো ব্যক্তি ভ্যাট পরামর্শক হতে পারবেন না। ফৌজদারি অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত বা সাজা ভোগ করার পর পাঁচ বছর অতিক্রম না হলেও কেউ মূসক পরামর্শক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন না। এ ছাড়া ভ্যাট পরামর্শক, ভ্যাট এজেন্ট ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং, ফ্রেট ফরোয়ার্ডার্স বা আয়কর পরামর্শক হিসেবে এর আগে কারও লাইসেন্স বাতিল হলেও যোগ্যতা হারাবেন।
আপনি কি ভ্যাট পরামর্শক হতে চান
সুখবর হলো দুই ধরনের যোগ্যতাসম্পন্ন লোকদের ভ্যাট লাইসেন্স নিতে কোনো পরীক্ষা দিতে হবে না। তাঁরা হলেন এনবিআরের ভ্যাট বিভাগে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, যাঁরা জাতীয় বেতন স্কেলের নবম গ্রেডের নিম্নে নন, এমন গ্রেডে চাকরি করেছেন। এ ছাড়া পাঁচ বছর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বা চার্টার্ড সেক্রেটারি বা কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টরা কোনো পরীক্ষা ছাড়াই ভ্যাট পরামর্শকের লাইসেন্স পাবেন। শুধু আবেদন করলেই হবে।
ভ্যাট পরামর্শকদের পেশাদারি লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য ভ্যাট পরামর্শক হওয়ার জন্য আবেদনপত্র চেয়েছে এনবিআর। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমির মহাপরিচালক বরাবর রেজিস্টার্ড ডাকযোগে নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে। এ জন্য মূসক ১৮.১ ফরম সংগ্রহ করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে তিনটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (সত্যায়িত), বয়স নির্ধারণের জন্য এসএসসির সনদের সত্যায়িত অনুলিপি, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার (প্রযোজ্য হলে) সনদের সত্যায়িত অনুলিপি; জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং পাঁচ হাজার টাকার পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট দিতে হবে।
এরপর যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক বাছাই শেষে ওয়েবসাইটে সেই তালিকা প্রকাশ করা হবে। পরে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। এসব ধাপ পেরোনোর পরই মিলবে ভ্যাট পরামর্শকের লাইসেন্স।
ভ্যাট বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, এখন প্রতিবছর দুই দফা এ ধরনের মূসক পরামর্শক লাইসেন্স দেওয়া হবে। পুরোনো ভ্যাট আইনের আওতায়ও এর আগে একাধিকবার এমন লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।