ইফাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ টিপু ফিতা ও কেক কেটে উৎসবের উদ্বোধন করেন। এ সময় ইফাদ অটোস লিমিটেডের ভাইস-চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, তাসফিন আহমেদ এবং অশোক লেল্যান্ডের ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশ অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কারখানাটিতে ভারতের অশোক লেল্যান্ড ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের এসি, নন-এসি বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান তৈরী হচ্ছে। বেসরকারী উদ্যোগে এটি দেশের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক গাড়ি তৈরী কারখানা। ২০১৭ সালের শুরুতে ভারতের অশোক লেল্যান্ডের কারিগরি সহযোগিতায় ইফাদ অটোস লিমিটেড কারখানাটিতে গাড়ি উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে।
অনুষ্ঠানে ইফাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ টিপু বলেন, দিনটি ইফাদ গ্রুপের জন্য এক বিশেষ আনন্দের। কারন, দেশের সার্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ভারী যানবাহন সংযোজন এবং উৎপাদন একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো। সঠিক পরিকল্পনা, কঠোর পরিশ্রম এবং সংশ্লিষ্ঠ সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সেই চ্যালেঞ্জে ইফাদ অটোস জয়ী হয়েছে। আগামীতেও আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন যেকোন গাড়ি প্রস্তুতে ইফাদ গ্রুপ এগিয়ে থাকবে।
তিনি জানান, বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছরে ভারী যানবাহনের ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে গাড়ি আমদানী বাবদ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ইফাদ অটোস লিমিটেড এই কারখানা স্থাপন করে। তিনি আরো বলেন, কারখানাটি শুরুতে গাড়ি সংযোজন করলেও পরবর্তীতে বিশ্বমানের এসি, নন-এসি লাক্সারী বাস উৎপাদন শুরু করে। যেখানে বছরে ১ হাজারেরও বেশী গাড়ির বডি তৈরী করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।
ইফতেখার আহমেদ টিপু বলেন, বর্তমানে বিদেশ থেকে গাড়ি আমদানী করতে বেশ সময় লাগে। এই কারখানা চালু হওয়ার ফলে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী দ্রুততম সময়ে গাড়ি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে। ইফাদ অটোস লিমিটেডের এই কারখানায় বিভিন্ন মডেলের এসি, নন-এসি বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান তৈরী হওয়ায় এর উৎপাদন খরচ, আমদানীকৃত গাড়ির চেয়ে অনেক কম। যার সুবিধা ক্রেতারাও ভোগ করছেন।
তিনি জানান, বেসরকারী উদ্যোগে দেশের ইতিহাসে নব দিগন্তের সূচনা করে ইফাদ অটোস লিমিটেড। দেশীয় কাঁচামালের সঠিক ব্যবহার, দক্ষ কর্মি সৃষ্টি, নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার পাশাপাশি এই কারখানাটি জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ ভুমিকা পালন করছে বলেও জানান তিনি।