বিজ্ঞপ্তিতে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে জ্বালানি সরবারাহের একটি জটিল ও বহুস্তর বিশিষ্ট প্রক্রিয়া বলে উল্লেখ করেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক এবং এতমস্ত্রয় এক্সপোর্ট ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলেক্সি দেইরি। তিনি জানান, এ প্রক্রিয়ায় সব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মানদণ্ড অনুসরণ করাটা বাধ্যতামূলক। জ্বালানির গ্রহণযোগ্যতা নিরীক্ষণ এবং নির্ধারিত সব ধাপ সম্পূর্ণ না করা পর্যন্ত জ্বালানির শিপমেন্ট করা হবে না। তিনি আরো জানান, অদূর ভবিষ্যতে রাশিয়ার নভোসিবিরস্কে এই গ্রহণযোগ্যতা নিরীক্ষণ বা এক্সসেপটেন্স ইন্সপেকশন করা হবে।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বিএইআরএ) সম্প্রতি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের অপারেটর বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনকে পারমাণবিক জ্বালানির আমদানি, হ্যান্ডলিং, সংরক্ষণ এবং পরিবহণের জন্য ক্লাস- বি, ডি, এবং ই লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। ক্লাস- বি লাইসেন্স পরমাণু সামগ্রীর ক্রয়, মালিকানা, হ্যান্ডলিং, এবং সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান করে। ক্লাস- ই লাইসেন্স দ্বারা পরমাণু সামগ্রীর আমদানি, এবং ক্লাস- ডি লাইসেন্স দ্বারা রুশ পরিবহন কোম্পানির মাধ্যমে পরমাণু সামগ্রীর পরিবহনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
পাবনা শহরের একটি রিসোর্টে এই লাইসেন্সগুলো হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান, বায়েরার চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক, রাশিয়ার রসটেকনাদজোর (পরিবেশ, প্রযুক্তি, এবং নিউক্লিয়ার সুপারভিশন সংক্রান্ত ফেডারেল সংস্থা) উপ-প্রধান আলেক্সি ফেরাপন্তভ, রোসাটমের প্রথম উপ-মহাপরিচালক এবং এতমস্ত্রয় এক্সপোর্টের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেই পেত্রভ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জেনারেল ডিজাইনার ও কন্টাক্টর রাশিয়ার রোসাটম করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা। প্রকল্পটিতে দু’টি ইউনিট স্থাপিত হবে, প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট। প্রতিটি ইউনিটে থাকছে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর রিয়্যাক্টর, যেগুলো সব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম।