২৭-০ গোলের বড় ব্যবধানে ম্যাচটি জিতে নিয়েছে থমাস টুখেলের দল। যেখানে প্রতিপক্ষ রোটাখ এগার্ন কোনো গোলই করতে পারেনি। দলের তিনজনই দিয়েছেন ১৫টি করে গোল। বাকি ১২ গোল এসেছে আরও ১০ জনের পা থেকে। হ্যাটট্রিক পেয়েছেন ৪ বায়ার্ন ফুটবলার।
ম্যাচে ৫টি করে গোল করেছেন ১৮ বছর বয়সী ম্যাথিস টেল, তরুণ ফরোয়ার্ড জামাল মুসিয়ালা ও মার্সেল সাবিতজার। জামাল মুসিয়ালাই তৃতীয় মিনিটেই গোলের সূচনা করেছিলেন। প্রথমার্ধেই তারা ১৮-০ গোলে এগিয়ে ছিলেন। ৩টি গোল এসেছে সার্জিও গ্যানাব্রির পা থেকে। এছাড়া গোল পেয়েছেন- আলফনসো ডেভিস, কনরাড লেইমার, নৌসির মাজরাওই, দায়োত উপামেকানো, লেরয় সানে, রাফায়েল গুয়েরেরেইরো, রায়ান গ্রাভানভের্খ, কিংসলে কোম্যান ও সাদিও মানে।
অবশ্য বায়ার্নের কাছে এর আগেও এমন গোল-পাহাড়ের মুখোমুখি হয়েছিল রোটাখ এগার্ন। ২০১৯ সালের এক ম্যাচে বাভারিয়ারা তাদের ২৩-০ গোলে হারিয়েছিল। এবার সেই মাত্রাও ছাড়িয়ে গেছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। দিনটি মাঠ এবং মাঠের বাইরে ব্যস্ততার মধ্য দিয়েই কেটেছে বায়ার্নের। মাঠের পারফরম্যান্সের আগে নাপোলি থেকে ক্লাবটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন কিম মিন জাই। একইসঙ্গে স্পোর্টিং ডিরেক্টর হিসেবে এদিন দায়িত্ব নিয়েছেন এফসি শালজবুর্গের সাবেক কর্মকর্তা ক্রিস্টোফ ফ্রেউন্ড। এর আগে ক্রিস্টিয়ান ডেসেনকে বায়ার্ন জায়ান্টদের প্রধান নির্বাহী (সিইও) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে বুন্দেসলিগার শিরোপা নিশ্চিতের দিন আচমকাই সিইও অলিভার কান ও স্পোর্টিং ডিরেক্টর হাসান সালিহামিদজিচকে বরখাস্ত করে বায়ার্ন। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটিতে অবশ্যই জিততে হতো বাভারিয়ানদের। ম্যাচের শেষদিকে গোল করে তাদের সেই যাত্রায় উদ্ধার করেন মুসিয়ালা। অন্যদিকে বায়ার্নের প্রত্দ্বিন্দ্বীরাও তাদের ভালোই সহায়তা করেছে, কারণ মেইনজের বিপক্ষের ম্যাচে ডর্টমুন্ড হতাশার ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে।