এ বিষয়ে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরাম উল্লাহ জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত রবিবার বন্ধ হয়ে যায় রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। এরপর ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ভারত হেভি ইলেক্ট্রিক্যালস লিমিটেডের প্রকৌশলীরা যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামতের কাজ শুরু করেন। মেরামত সম্পন্ন হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টায় কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদনের বয়লার ফায়ার করা হয়। এরপর দুপুর ২টা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গেই তা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর সাত মাসে পাঁচবার বন্ধ হয়েছে এটি। উৎপাদন শুরু পর প্রথম ১৪ জানুয়ারি, এরপর ১৫ এপ্রিল, ২৩ এপ্রিল, ৩০ জুন ও ১৬ জুলাই বন্ধ হয় এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুইটি ইউনিট রয়েছে, যার প্রতিটি ৬৬০ মেগাওয়াটের। দুইটি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ইউনিটটি গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় কারিগরি ত্রুটি ও কয়লা সংকটে বন্ধ হয় প্রথম ইউনিটের উৎপাদন।
এছাড়া দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক সরবরাহ শেষ হয়। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে নিয়মিত ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হবে।