বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনা সম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সভার আগে ডিএনসিসির নগর ভবনের সামনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে নগরবাসীদের সচেতন করার লক্ষ্যে আয়োজিত র্যালিতে অংশ নেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। র্যালিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা অংশ নেন।
এ সময় সমসাময়িক বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ১২৯টি দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার কারণে সারা বিশ্বেই এ ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। তবে, আসার কথা হল ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ কমানো সম্ভব। সেজন্য প্রধান কাজ হচ্ছে এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করা।
তাজুল ইসলাম বলেন, এক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের নিজ নিজ এলাকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করতে পারেন।
এসময় তিনি এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বা লার্ভা জন্মানোর মতন উপযুক্ত পরিবেশ আছে এ রকম বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অফিস আদালতকে বড় অংকের জরিমানার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মন্ত্রী বলেন, নানাভাবে সতর্ক করার পরও মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলার মতো অসচেতনতাকে ক্ষমা করার সুযোগ নেই।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে মতামত উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস না করে ডেঙ্গুর সংক্রমণ কমানোর সহজ কোনো উপায় নেই। কারণ মশা এমন একটি প্রাণি যা যে কাউকেই কামড়াতে পারে। এ সময় তিনি ডেঙ্গু মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসে বিটিআই প্যাকেটের মোড়ক উন্মোচন করেন এবং তা সাংবাদিকদের দেখান।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু সচেতনতা তৈরিতে কাউন্সিলররা অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে মসজিদের ইমাম ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এতে আরও বক্তব্য দেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা। এ সময় ঢাকা উত্তরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ওপর সচিত্র পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা একেএম শফিকুর রহমান। এসময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশা উপস্থিত ছিলেন।