তবে এই তালিকা করা হয়েছে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর ভিত্তিতে। একই সময়ে ওয়ানডেতে জয়ের দিক থেকে টাইগারদের পরই শ্রীলঙ্কার অবস্থান। ৫০ ম্যাচে তাদের জয় ২৬টিতে। সমান ৩৬টি ম্যাচে ২১টি করে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তান ওয়ানডেতে ২৮ ম্যাচের মধ্যে ১৯টি, দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৫ ম্যাচে ১৮টি, ইংল্যান্ড ৩৬ ম্যাচে ১৮টি এবং আফগানিস্তান ২৪ ম্যাচের মধ্যে জিতেছে ১৪টিতে।
গত বিশ্বকাপের পর থেকে টাইগারদের ওয়ানডেতে উন্নতির গ্রাফটা প্রতিপক্ষ দলগুলোর জন্য বেশ ঈর্ষণীয়। তাদের ধারাবাহিক ছন্দের কারণে যেকোনো দলই বাংলাদেশকে এখন সমীহ করতে বাধ্য। এমন পারফরম্যান্সই আসন্ন ভারত বিশ্বকাপে টাইগারদের প্রত্যাশা পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে। আগামী ৫ অক্টোবর নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে এবারের ১৩তম আসরের পর্দা উঠবে। এর দুদিন পর (৭ অক্টোবর) সাকিব-তামিমরা নিজেদের প্রথম ম্যাচে লড়বেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
এর আগে ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ হিসেবে ২৪টি করে ম্যাচ খেলে ১৩টি দেশ। তিন নম্বরে থেকে সেই প্রতিযোগিতা শেষ করে বাংলাদেশ। দুইয়ে থাকা ইংল্যান্ডের সমান ১৫ ম্যাচে জয় পায় টাইগারা, একইসঙ্গে দল দুটি সমান ৮টি হার ও একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল। শীর্ষে থাকা কিউইদের ১৬টি জয়ের বিপরীতে ৫ ম্যাচে হার এবং ৩টি পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
ওই তালিকায় আটের মধ্যে থেকে আরও পাঁচটি দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। যথাক্রমে পয়েন্ট ব্যবধানে এরপর অবস্থান করছে অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। পরবর্তীতে বাছাইপর্ব পেরিয়ে শীর্ষ দুই দল শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসও ভারত বিশ্বকাপের টিকিট কাটে। তবে প্রথমবারের মতো সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, এছাড়া ছিটকে যায় জিম্বাবুয়েও।
এখন পর্যন্ত আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১২টি আসর বসেছে। যেখানে সর্বোচ্চ ৫টি আসরের শিরোপা ঘরে তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দুই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভিভ রিচার্ডস, ক্লাইভ লয়েড, কোর্টনি ওয়ালশ ও কার্টলি অ্যামব্রোসের ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের দেশটি প্রথমবারের মতো এবারের আসরের বাছাইপর্ব থেকেই ছিটকে গেছে। এছাড়া ভারত দু’বার এবং শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই