সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর প্রথম দিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত অন্তত ৬ হাজার ১০০ জন নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ৪৬৩ জন প্রথম কিস্তির চাঁদা জমা দিয়েছেন। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য (অতিরিক্ত দায়িত্ব) গোলাম মোস্তফা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি।'
১৮ বছরের বেশি বয়সী বাংলাদেশি নাগরিকরা www.upension.gov.bd ওয়েবসাইটে ঢুকে এই প্রকল্পের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল ৪টি স্কিমের উদ্বোধন করলেও তিনি বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় মোট ৬টি স্কিম থাকবে। তবে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্য দুটি স্কিমের বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অন্য দুটি প্রকল্প সরকারি কর্মচারী এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের জন্য করা হতে পারে। সরকারি কর্মচারীদের বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থা সংস্কারের পরিকল্পনা আছে সরকারের।
বর্তমানে সরকারি ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ছাড়া ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের যে কেউ সার্বজনীন পেনশনের আওতায় ৪টি স্কিমের একটিতে অংশ নিতে পারবেন। এজন্য ইউনিপেনশন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
ইউনিপেনশন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে কয়েকটি ধাপে নিবন্ধন করতে হবে। আবেদনকারীকে বিভিন্ন ধাপে পিতা-মাতার নাম, মোবাইল নম্বর, ইমেইল, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর, জন্ম তারিখ, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং নমিনির তথ্য দিতে হবে। পরে এসএমএস বা ইমেইলের মাধ্যমে আবেদনকারী একটি ওটিপি পাবেন। যার মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পূর্ণ করতে হবে।
সফলভাবে নিবন্ধনের পর সুবিধাভোগীরা ব্যাংকের শাখায় বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, অনলাইন ব্যাংক ট্রান্সফার বা ব্যাংক কার্ডের মাধ্যমে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। পেনশন কর্তৃপক্ষ এসএমএসের মাধ্যমে কিস্তি পরিশোধের বিষয়টি নিশ্চিত করবে। ওটিপি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সুবিধাভোগী তার জমা হওয়া অর্থের পরিমাণ জানতে পারবেন।
অর্থসংবাদ/এসএম