দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বিপুল পরিমাণে বেড়েছে। দেশের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী চাহিদার কথা মাথায় রেখেই ব্যবসায়ীরা আমদানি বাড়াচ্ছেন। ফলে পণ্যটির দাম কমতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, বুধবার দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে একদিনেই রেকর্ড ৬১টি ট্রাকে ১ হাজার ৮৩৭ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ বাড়ায় কেজিতে ৪ টাকা করে কমেছে দাম।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে ইন্দোর, নাসিক ও নগর জাতের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। দুদিন আগেও বন্দরে প্রতি কেজি ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ৪৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। বর্তমানে তা কমে ৩৯-৪০ টাকায় নেমেছে। এছাড়া নাসিক ও নগর জাতের পেঁয়াজ ৪৯ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা আইয়ুব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই বাজার স্থিতিশীল ছিল। সব ধরনের পেঁয়াজের দাম প্রকারভেদে ৩০-৩২ টাকার মধ্যেই ওঠানামা করছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বন্দর দিয়ে আমদানি কমে যাওয়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বাড়তি হতে শুরু করে। ইন্দোর জাতের পেঁয়াজের দাম ৪৩ টাকায় এবং নাসিক জাতের পেঁয়াজের দাম ৪৯ টাকায় উঠে যায়। তবে বর্তমানে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। গতকাল বন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত রেখেছেন আমদানিকারকরা। বাড়তি চাহিদাকে মাথায় রেখে পেঁয়াজ আমদানি বাড়িয়েছেন বন্দরের ছোটবড় ব্যবসায়ীরা। শুধু হিলি স্থলবন্দর নয়, দেশের অন্যান্য স্থলবন্দর দিয়েও ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে। যার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে। আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম আরো কমতে পারে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আগের তুলনায় আমদানি কিছুটা বেড়েছে। বন্দর দিয়ে গত কয়েকদিন ৪০-৪২ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও বুধবার একদিনেই ৬১টি ট্রাকে ১ হাজার ৮৩৭ টন আমদানি হয়।
অর্থসংবাদ/এসএম