গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার চারিগ্রাম থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন আবদুর রহমান (৬০) ও নাজমুন্নাহার সিদ্দিকা।
তবে মামলার মূল আসামি মিজানুরকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে নীলার পরিবার হতাশা প্রকাশ করেছে।
এর আগে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে গত মঙ্গলবার রাতে মানিকগঞ্জের আরিচাঘাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সেলিম পালোয়ান নামের এক যুবককে। তিনি মিজানুরের পাশের বাসায় থাকেন। হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
সেলিমকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সাভার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, মিজানুরের বাবা আবদুর রহমান ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাকে গ্রেপ্তারের পর গতকাল দিবাগত রাত একটার দিকে তাঁদের সাভার থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। তাঁদের আজ নীলা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হবে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।
নীলার পরিবারের ভাষ্য, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নীলাকে হত্যা করেন মিজানুর। তিনি স্থানীয় একটি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
গত রোববার রাত আটটার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে রিকশায় করে হাসপাতালে যাওয়ার পথে নীলাকে ছিনিয়ে নিয়ে বখাটে মিজানুর ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন বলে অভিযোগ।
এ ঘটনায় নীলার বাবা নারায়ণ রায় সোমবার রাতে সাভার থানায় মিজানুর, তাঁর বাবা আবদুর রহমান, মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাসহ অজ্ঞাতনামা আরও চারজনকে আসামি করে মামলা করেন।
এদিকে মিজানুরদের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় স্থানীয় লোকজনকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।