জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত সার্কভুক্ত দেশসমূহের ১৭তম অনানুষ্ঠানিক কাউন্সিল অব মিনিস্টার্সের এক সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোকে একসাথে কাজ করার মাধ্যমে সম্মিলিত কল্যাণ সাধনের বিষয় উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তিনি মার্চে অনুষ্ঠিত সার্ক নেতৃবৃন্দের বৈঠকে ঢাকায় একটি সার্ক জনস্বাস্থ্য গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবনার কথা পুনরুল্লেখ করেন, যা পরবর্তীকালে করোনার মতো যেকোন জনস্বাস্থ্য দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্কভুক্ত সব দেশকে সাহায্য করবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের এই বছরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দক্ষিণ এশিয়ায় কার্যকরী আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রতিষ্ঠাকল্পে সার্ক ফোরামকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গিওয়ালির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় সার্কভুক্ত ৮টি দেশের সব পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। এ বছরের সভায় সার্কভুক্ত দেশেগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা করোনা মোকাবিলায় আঞ্চলিক প্রচেষ্টাগুলোকে পর্যালোচনা করেন ও করোনাকালে এ সহযোগিতা আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সার্কে নবশক্তি সঞ্চারণকল্পে সার্কের কর্ম পরিকল্পনা (প্ল্যান অফ অ্যাকশন) পর্যালোচনা ও তার যথাযথ বাস্তবায়নের ওপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন আলোকপাত করেন।
ড. মোমেন বলেন, করোনা সহযোগিতার আরও নতুন নতুন ক্ষেত্র ও সুযোগ যেমন তৈরি করবে তেমনি বর্তমানকালের অনেক ক্ষেত্রকেও আংশিকভাবে বা পুরোপুরি অপ্রাসঙ্গিক বানিয়ে ফেলবে।
তিনি করোনা পরবর্তী সময়ে খাদ্য ও কৃষি, জনস্বাস্থ্য, আইসিটি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ- এসব খাতে আলাদা গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের মতো কিছু কার্যকরী বৈঠক অনুষ্ঠানের প্রতি সার্কের অন্যান্য দেশের মন্ত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন করোনা পরবর্তী সংকট উত্তরণকল্পে সার্কভুক্ত দেশসমূহের নিবিড় সহযোগিতার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন, যেন সার্ক ভবিষ্যতে একটি গতিশীল ও কার্যকর আঞ্চলিক সংস্থা হিসেবে শক্ত অবস্থান করে নিতে পারে।