এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, চলতি বছরের ৬ আগস্ট থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্লোবাল ডিলার নেটওয়ার্ক, আন্তর্জাতিক বাজার, ভারতে সেল ও নির্মাণ বন্ধ করে দেয়া সংক্রান্ত বিষয়ে অতিরিক্ত রিস্ট্রাকচারিং অ্যাকশনে সম্মতি দিয়েছে কোম্পানি।
গত ২ মাস আগেই হার্লে ডেভিডসন জানিয়ে দেয়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের মত চালু বাজার ধরায় আরও জোর দেয়া ও লাভজনক মোটরসাইকেল তৈরির পথে হাঁটতে চায়। এছাড়া ছোট বাজার থেকে বেরিয়ে যেতে চায় সংস্থাটি।
পুনর্গঠন ব্যয়ের ৭৫ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে ৮০ শতাংশ নগদ ব্যয়ে চলে যাবে। এর মধ্যে প্রায় ৩ মিলিয়ন ডলারের ছাঁটাই সংক্রান্ত এককালীন খরচ, প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলারের নন কারেন্ট অ্যাসেট অ্যাডজাস্টমেন্ট ও চুক্তি শেষ করা এবং অন্যান্য খরচসহ প্রায় ৬৭ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হবে সংস্থাটিকে।
হার্লে ডেভিডসন জানিয়েছে, এ বছরে তাদের মোট পুনর্গঠন ব্যয় দাঁড়াবে ১৬৯ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ভারতে ৭০ জনের মত কর্মী ছাঁটাইয়ের খরচ ধরা আছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে আরও জানায়, ভারতে লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে না। তাদের মোট বিক্রির ৫ শতাংশেরও কম এ দেশে বিক্রি হয়। তারপর করোনাভাইরাসের কারণে মারাত্মক লোকসানের মুখোমুখি হয়েছে সংস্থাটি। আগামী ১২ মাসের মধ্যে এই পুনর্গঠন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ তারা সেরে ফেলতে চায়। আপাতত উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ব্যবসার জোর দিতে চায় হার্লে ডেভিডসন।
এর আগে ২০১৭ সালে মার্কিন অটোমোবাইল সংস্থা জেনারেল মোটরস ভারতের গুজরাটে থাকা তাদের কারখানাটি বিক্রি করে দিয়েছিল।