প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ ওঠে। এছাড়া দেশব্যাপী ক্যাসিনো অভিযানের ধারাবাহিকতায় তার বিরুদ্ধে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এই ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ বাদী হয়ে মামলা করেন।
প্রশান্ত কুমার হালদার ছাড়াও যাদের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন−কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. নুরুল আলম, পরিচালক জহিরুল আলম, এমএ হাশেম, নাসিম আনোয়ার, বাসুদেব ব্যানার্জী, পাপিয়া ব্যানার্জী, মোমতাজ বেগম, নওশেরুল ইসলাম, আনোয়ারুল কবির, প্রকৌশলী নরুজ্জামান, আবুল হাশেম, মো. রাশেদুল হক, পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, স্ত্রী সুস্মিতা সাহা, ভাই প্রিতুষ কুমার হালদার, চাচাতো ভাই অমিতাব অধিকারী, অভিজিৎ অধিকারী, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক পরিচালক ইরফান উদ্দিন আহমেদ, পি কে হালদারের বন্ধু উজ্জ্বল কুমার নন্দী।
দুই জন বিনিয়োগকারীর টাকা ফেরত চেয়ে করা মামলার শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এছাড়া এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার কবির।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানের বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ হাশেমসহ কোম্পানির পরিচালকদের সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, প্রশান্ত কুমার হালদার (পিকে হালদার) বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থেকে অন্তত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন। তিনি প্রথমে রিলায়েন্স ফাইন্যান্স এবং পরে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে−ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) প্রভৃতি।