চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের প্রধান ঝং নানশান সোমবার গণমাধ্যমকে বলেন, চীনজুড়ে ছড়িয়ে পড়া এবং আরো তিনটি এশীয় দেশে পৌঁছানো ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হতে উহান শহরেই যেতে হবে এমন নয়। কেননা ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়।
তিনি আরো বলেন, দক্ষিণ চিনের গুয়াংডং প্রদেশে একই পরিবারের দুই সদস্য আরেক সদস্য থেকে এই রোগে আক্রান্ত হন। তারা উহান শহরে যাননি। তবে পরিবারের যে সদস্য ভ্রমণে গিয়েছিলেন তার থেকেই এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রন্ত রোগীদের সেবাদানকারী ১৪ জন চিকিৎসা কর্মীও সংক্রমিত হয়েছেন।
নতুন এই ভাইরাসটি চীনের উহান প্রদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে৷ ওই প্রদেশের একটি সামুদ্রিক মৎস্য (সি-ফুড) বাজার থেকে মূলত প্রথম আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরপরই বাজারটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ওই এলাকায় এ পর্যন্ত দুই শতাধিক মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। মারা গেছেন চারজন৷ ভাইরাসটি মূলত ফুসফুসে বড় ধরনের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষণ। তবে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৭০০-এর কাছাকাছি বলে জানিয়েছেন ব্রিটেনের বিশেষজ্ঞরা।
মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ হওয়ায় ভাইরাসটি আরো দ্রুত এবং ব্যাপকভাবে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই আশংকায় হাসপাতালগুলোকে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এছাড়া ২৫ জানুয়ারি নতুন চীনা চান্দ্রবর্ষ। এ উৎসবকে ঘিরে চীনের ১৪০ কোটি জনসংখ্যার অধিকাংশ অভ্যন্তরে ও বিদেশে ব্যাপক ভ্রমণ করেন। ফলে এ উৎসবকে ঘিরে করোনাভাইরাস আরো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।