দুই দেশের মধ্যে আজ তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে বলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বৈঠকের আগেই সমঝোতা স্মারকগুলোর স্বাক্ষর সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, মূলত কৃষি গবেষণা খাতে সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও দুই দেশের সাধারণ নাগরিকদের লেনদেন সহজীকরণের জন্য দুই দেশের মধ্যে আজ প্রত্যাশিত সমঝোতা স্মারক তিনটি সই হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা ১১টায় দিল্লির উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। স্থানীয় সময় অনুযায়ী বেলা সোয়া ১টায় দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে তাকে বহনকারী উড়োজাহাজটির অবতরণের কথা রয়েছে। বিকাল সাড়ে ৫টায় নরেন্দ্র মোদির সরকারি বাসভবনে তার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন শেখ হাসিনা।
দিল্লি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ছাড়া একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করবেন নরেন্দ্র মোদি। দেড় ঘণ্টার ওই বৈঠকের আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যুসহ নির্বাচন প্রসঙ্গেও আলোচনায় হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে চলমান টানাপড়েনের মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করবে ভারত। নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও ৮ সেপ্টেম্বর এক নৈশভোজে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান করা হোটেলে ইন্ডিয়ান কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
খসড়া সফরসূচি অনুযায়ী, আগামী শনিবার অনুষ্ঠেয় সম্মেলনের দুই অধিবেশনের সাইডলাইনে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দেশের একাধিক নেতার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ, আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন যায়েদ আল নাহিয়ান, রিপাবলিক অব কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল ও আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্ট তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট ভোলা আহমেদ তিনুবি প্রমুখের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে বলে খসড়া তালিকা সূত্রে জানা গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সম্মেলনের সাইডলাইনে শেষ মুহূর্তে আরো কিছু বৈঠকের আয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের প্রেসিডেন্ট ছাড়াও আরো কয়েকটি বিশ্ব সংস্থার প্রধানের সঙ্গে বৈঠকসূচি নির্ধারণের সম্ভাবনা রয়েছে।
জি২০ সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিন অন্যান্য দেশের নেতাদের সঙ্গে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে অংশ নেবেন। সম্মেলনের শেষ দিনে জি২০ নয়াদিল্লি ঘোষণা গৃহীত হবে। ১০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় ফিরে আসবেন।
অর্থসংবাদ/এমআই