বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২২ সালের শুরুর দিকে যখন রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরু করে, তখন খুব কঠিন সময় ছিল। স্বাধীনতার ৩০ বছরেরও বেশি সময়ে সবচেয়ে বড় পতন ঘটে ইউক্রেনের জিডিপিতে। চলতি বছর অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হতে শুরু করেছে। দেশটির ব্যবসা চলমান থাকা এবং বাসিন্দারা যুদ্ধকালীন বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হয়েছে।
দেশটির উপ-অর্থমন্ত্রী নাদিয়া বেগুন বলেন, ‘ইউক্রেনের উদ্যোক্তাদের সংখ্যা যুদ্ধের আগের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। ইতিবাচক খবর হলো, ইউক্রেনীয় ব্যবসা পুনরুদ্ধার হচ্ছে এবং নিবন্ধিত উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়ছে। গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত আমাদের প্রায় ২০ লাখ উদ্যোক্তা রেকর্ড করা হয়েছে।’
দেশের ইতিবাচক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সরকারকে আগামী বছরের পূর্বাভাস উন্নত করতে প্ররোচিত করেছে। ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২৩ সালের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়ে ২ দশমিক ৯ শতাংশ করেছে, যা আগে ছিল ২ শতাংশ। একই সঙ্গে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আগামী বছরে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ হবে। তবে দেশটির পশ্চিমা ঋণদাতারা বেশ সতর্ক। বিশ্বব্যাংক ২০২৩ সালে দেশটির জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে দশমিক ৫ শতাংশ।
অর্থসংবাদ/এমআই