প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ব্যবসা করতে চান বা শিল্প করতে চান, তাহলে শিল্প এলাকায় যান। বাড়ির পাশের ধানের জমি নষ্ট করে শিল্প স্থাপন করবেন কেন? আমরা উৎসাহ দেব, আপনারা শিল্প এলাকায় এসে শিল্পকারখানা স্থাপন করেন। সেখানে আপনারা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও পাবেন। গ্যাস, রাস্তা, ব্যাংক সব পাবেন।’
প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য নির্দেশনা তুলে ধরে এম এ মান্নান বলেন, ‘শুধু মেডিকেল বর্জ্যই নয়, সব ধরনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জোরদারে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বাস, নৌ, বিমানসহ যেকোনো স্টেশনের বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। এ কাজে যেসব সংস্থা দায়িত্বপ্রাপ্ত তাদেরও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নদীর পাড় দখলমুক্ত করতে হবে। কচুরিপানামুক্ত করে ড্রেজিং করতে হবে।’
এদিকে আজকের একনেক সভায় ৭৯৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা খরচে চারটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার দেবে প্রায় ৬২৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং বিদেশি ঋণ ১৭২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি জানান, আজ অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে তিনটি নতুন প্রকল্প এবং একটি সংশোধিত। সংশোধিত প্রকল্পটি হলো নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন প্রকল্প-১ (চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ)’ প্রকল্প।
তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা থেকে ব্যয় বেড়ে এখন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে তিন হাজার ৩৪৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এতে সময়ও বেড়েছে। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া প্রকল্পটির সময় দেড় বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।