সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের প্রেক্ষাপটে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন স্থানীয় এক নববধূ। ছাত্রলীগের কয়েক কর্মীর এই ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে সারা দেশে নিন্দা-সমালোচনার ঝড় বইছে। এর মধ্যেই মাউশির নির্দেশনা এল; যাতে বলা হয়েছে, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ এই পদক্ষেপ।
অধ্যক্ষদের নয় দফা নির্দেশনা দিয়ে জরুরিভিত্তিতে তা বাস্তবায়নের জন্য ‘বিশেষভাবে’ অনুরোধ জানিয়েছে মাউশি। অন্য নির্দেশনাগুলো হলো-
১. অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম চালু রাখতে হবে এবং আঞ্চলিক পরিচালককে ক্লাস নেওয়ার তথ্য দিতে হবে।
২. প্রতিষ্ঠানে ভিজিল্যান্স টিম গঠন করতে হবে এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে নিয়মিত পরিদর্শন প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
৩. শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাসে অংশগ্রহণ মনিটরিং ও অভিভাবকের সঙ্গে সংযোগ করতে হবে।
৪. শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিতে হবে।
৫. কলেজ ক্যাম্পাসে বিনা প্রয়োজনে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে।
৬. কলেজের বিজ্ঞানাগার ল্যাব, আইসিটি ল্যাব, লাইব্রেরিসহ সার্বিক সরকারি সম্পত্তি ও নথি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
৭. ছাত্রাবাসগুলো বন্ধ রাখতে হবে এবং ছাত্রাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৮. প্রতিষ্ঠানের মূল ফটকসহ সব প্রবেশপথে সার্বক্ষণিক প্রহরী নিয়োজিত রাখতে হবে।
৯. স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ক্যাম্পাসে পুলিশি টহল জোরদার করতে হবে।