আজ বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কয়েকটি উন্নয়নকাজ উদ্বোধনকালে এ তাগিদ দেন তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে প্রধানমন্ত্রী পানি ভবন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, বিমানবন্দরের ভেতরে বঙ্গবন্ধু কর্নার, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের নবনির্মিত প্রধান কার্যালয় পর্যটন ভবন এবং সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের (প্রথম পর্যায়) নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশে যত খাল, বিল, হাওর, পুকুর, নদী যা আছে সবগুলোর যাতে নাব্য থাকে, সেগুলো খনন করা, সেখানে পানি ধারণক্ষমতা বাড়ানো, এসব করতে হবে। তাতে দুটি কাজ হবে। একটা হচ্ছে আমাদের জীববৈচিত্র্য রক্ষা হবে, মৎস্য উৎপাদন বাড়বে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা হবে। তাতে মানুষের চহিদাটাও আমরা পূরণ করতে পারবো।
ভূ-গর্ভস্থ পানির পরিবর্তে ভূ-উপরস্থ পানির ব্যবহার নিশ্চিতে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের ভূ-উপরস্থ পানি ব্যবহার করতে হবে। আমাদের সেচের পানি বা ব্যবহারের পানি যেন ভূ-গর্ভস্থ পানির পরিবর্তে ভূ-উপরস্থ পানির উৎস থেকে আসে সেদিকে যাতে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দেই।
এ সংক্রান্ত গবেষণায় গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গবেষণা ছাড়া কোনও কাজেই উৎকর্ষ সম্ভব না।
দেশের প্রতিটি নদী ড্রেজিং করার পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানোর পাশাপাশি নৌপথগুলো ড্রেজিং করে চালু করতে সরকারের নেওয়া উদ্যোগের কথা এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থার চাহিদা অনুযায়ী আইনগুলি যথাযথভাবে প্রণয়ন করে সে আইনও আমরা পাস করে দিয়েছি। যাতে করে আমাদের প্লেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাঠাতে পারি। আর বাংলাদেশে অন্য দেশে যেন প্লেন আসতে পারে, যেতে পারে সেদিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়েছি।
অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যারলয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম প্রমুখ।