ঠিক যেখানে শেষ হয়েছিল গেলবারের ফাইনাল, সেখান থেকেই যেন শুরুর বার্তা দিয়েছে এবারের বিশ্বকাপ। গতবারের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়েই শুরু হবে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ। এর মাধ্যমে লম্বা সময় পর আয়োজক দেশের ম্যাচ ছাড়াই বিশ্বকাপ আসর শুরু হবে। ভারত সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছে বিশ্বকাপের রঙ্গমঞ্চে।
এবারই প্রথম কোন বিশ্বকাপ জেতা দলকে ছাড়াই শুরু হচ্ছে ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্ট। দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাছাইপর্ব পেরুতে ব্যর্থ হওয়ায় এমন পরিণতি। বাছাইপর্ব থেকে উঠে এসেছে দুই দল। ১৯৯৬ এর বিশ্বকাপ জেতা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নেদারল্যান্ডস।
বাংলাদেশ এবারের আসরে এসেছে সম্ভাবনাময় এক দল নিয়ে। বিশ্বকাপের ঠিক আগে পেসার এবাদত ছিটকে গিয়েছেন এসিএল ইনজুরিতে। আর তামিম ইকবালের আসা হয়নি পরিপূর্ণ ফিট না থাকায়। এদের মাঝে তামিমের অনুপস্থিতি নিয়ে বেশ একটা ঝড়ই পার করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। তবে সেসব সরিয়ে আপাতত মাঠের ক্রিকেটেই ফোকাস করতে চায় টাইগাররা।
বিশ্বকাপ জয়ের ফেবারিট বিবেচনায় সবার প্রত্যাশিত নাম ভারত। সর্বশেষ তিনটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটাও দেখা যাচ্ছে যে স্বাগতিক দলই বিশ্বকাপ জয় করেছে। ২০১১ সালে ভারত-বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় হওয়া বিশ্বকাপে ভারত জিতেছে, ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে ফাইনালই খেলেছে দুই স্বাগতিক দেশ। যেখানে শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। আর ২০১৯–এর ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডই হেসেছে শেষ হাসি। তাই এবার ভারতের সম্ভাবনাকেই বড় করে দেখছেন প্রায় সবাই।
ফেবারিটের আসনে আছে পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার নামও। হিসেব থেকে বাদ যাচ্ছেনা টানা দুইবারের রানারআপ নিউজিল্যান্ডের নাম। ডার্কহর্স হিসেবে চমকের আশায় আছে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা। আফগানিস্তান আর নেদারল্যান্ডস থাকবে ভালো কিছুর প্রত্যাশায়।
ভারতের ১০ ভেন্যুতে ৪৮ ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্বকাপ। উদ্বোধনী ম্যাচের মত ফাইনালও আয়োজন করবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। প্রস্তুতি ম্যাচগুলো জানান দিয়েছে এবারের বিশ্বকাপে রানের উৎসব দেখবেন ক্রিকেট ভক্তরা। অপেক্ষার পালা ফুরিয়েছে। এবার সবাইকে স্বাগত বিশ্বকাপের রঙ্গমঞ্চে।
অর্থসংবাদ/এমআই