এদিকে দাম কমে যাওয়ার পরও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে না চাওয়ায় সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে এক কোটি ১১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২২ লাখ ২৯ হাজার টাকা।
অপরদিকে শেয়ারের দাম কমেছে ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৮০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ২০ পয়সা, যা তার আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ৫ টাকা।
কোম্পানিটির শেয়ারের এমন করুন দশার মূল কারণ হলো বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে না পারা। ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটি ২০১৬ সালের পর বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। তার আগের লভ্যাংশের চিত্রও খুব একটা ভালো নয়।
তালিকাভুক্তির বছর ২০১৪ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালে আবার ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়।
তুং হাই নিটিংয়ের পরই গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় ছিল রিং সাইন টেক্সটাইল। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়রের দাম কমেছে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১১ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- ফ্যামেলি টেক্সের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের ১১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ, জিকিউ বলপেনের ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সের ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ দাম কমেছে।