বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় বিএসইসি

বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় বিএসইসি

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সবসময় বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।


শনিবার (৭ অক্টোবর) ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) কার্যালয়ে বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ- ২০২৩ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহে আমরা নিশ্চিত হতে চাই বিএসইসি বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে সবসময়। আমরা বিনিয়োগকারীদের নিশ্চয়তা দিতে চাই যে তারা এখান থেকে লাভবান হবে। সকালে দেখলাম প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করেছেন। আমাদের কেন তৃতীয় টার্মিনাল দরকার? তার মানে আমাদের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, অথনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা যা করছি তাই প্রমাণ করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমি আইএসকোর মেম্বার হিসেবে দেখেছি বাংলাদেশ এখন অনেক সন্মানিয় পর্যায়ে রয়েছে। তারা পরবর্তী সন্মেলন বাংলাদেশে করার কথাও ভাবছে। আন্তর্জাতিক ব্যাংক এয়ারলাইনস সবাই অপেক্ষা করছে বাংলাদেশে এসে ব্যবসা শুরু করার।


সিএমএসএফ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সবসময়ই সিএমএসএফের মতো নতুন নতুন উদ্ভাবনী প্রোডাক্ট আনতে চাই। সিএমএসএফ এখন যা করছে তা প্রশংসনীয়। তবে সিএমএসএফ থেকে আমরা আরও অনেক বেশি কিছুর আশা রাখি। দিনের পর দিন নতুন নতুন প্রোডাক্ট উভদ্ভাবনের মাধ্যমে সিএমএসএফ এগিয়ে যাবে।


অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএমএসফ চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম।


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের সব সময় ইনোভেশনের দিকে মনোযোগী হতে হবে। আমাদের সব ক্ষেত্রেই ইনোভেটিভ চিন্তা করতে হবে। সিএমএসএফকে এখন আমরা একটা ফরমপটে এনেছি, এটা আর পরিবর্তন করা যাবেনা এমন না। নব নব চিন্তা থেকে সিএমএসএফ আরও নতুন নতুন কাজ করবে বলে আমরা আশি করি।


তিনি বলেন, যে বিনিয়োগজারীদের টাকা আমরা সিএমএসএফের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছি। সেটাকে আমরা সিএমএসএফের এর নিজস্ব সম্পত্তি ভাবছিনা আমরা চাইছি তা দিয়ে বাজার স্ট্যাবিলাইজ করতে। আমরা চাই বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ ফিরিয়ে দিতে।


সিএসই চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম বলেন, বিনিয়োগের জন্য, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য পুঁজিবাজারের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশকে এগিয়ে যেতে হলে, দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে ক্যাপিটাল মার্কেটকেও এগিয়ে যেতে হবে। সিএমএসএফ বিএসইসির একটি ব্যতিক্রমী এবং ভালো উদ্যোগ। সিএমএসএফের কথা জানলে মানুষ পুঁজিবাজারে আসতে আরও উদ্ভুদ্ধ হবে।


সমাপনী বক্তব্যে সিএমএসএফ চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, সিএমএসএফ হচ্ছে বিএসইসির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবনা। বিএসইসির বর্তমান নেতৃত্ব যে উদ্ভাবনী মানসিকতা রাখে তারই উদাহরণ সিএমএসএফ। সবাই মিলে একসাথে কাজ করে এগিয়ে যাওয়ার জন্যই আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে।


তিনি বলেন, আমরা ১৪৫৮ জন বিনিয়োগকারীর ১৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকার স্যাটেলমেন্ট ক্লিয়ার করেছি। ২ অক্টোবর আমরা ১৯৩ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার এবং ক্যাশ ফেরত দিয়েছি বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন কে। আমরা প্রায় ১৫শ কোটি টাকার মতো ক্যাশ এবং স্টক বাজারে ব্যবহার করে বাজারের ভারসাম্যও বজায় রাখতে পারবো এবং বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হবার রিস্ক কমাতে সক্ষম হবো।


অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিএমএসএফের অর্গানাইজিং কমিটির কনভেনর এ.কে.এম নুরুল ফজল বুলবুল। কি-নোট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সিএমএসএফের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারেক।


অর্থসংবাদ/এসএম

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত