যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চীনের আরও ৪২টি কোম্পানিকে সরকারের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ তালিকায় যুক্ত করেছে। অভিযোগ, এরা রাশিয়ার সামরিক ও প্রতিরক্ষাশিল্পকে সহায়তা করছে। এই সহায়তার আওতায় তারা যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি আইসি বা ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটও সরবরাহ করছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, তবে শুধু চীন নয়; একই সঙ্গে ফিনল্যান্ড, জার্মানি, ভারত, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাজ্যের আরও সাত কোম্পানিকে এই রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের তালিকায় যুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, চীনের কোম্পানিগুলো যেসব সার্কিট রাশিয়াকে দিয়েছে, তার মধ্যে আছে মাইক্রো ইলেকট্রনিকস। ইউক্রেনের বেসামরিক এলাকায় সুনির্দিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জন্য রাশিয়া এই সার্কিট ব্যবহার করে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণবিষয়ক সহকারী সচিব ম্যাথিউ এক্সেলরড বলেন, এই রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ তালিকায় নতুন করে এতগুলো কোম্পানি যুক্ত করার মধ্য দিয়ে একটি বিষয় পরিষ্কার, সেটা হলো রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে মার্কিন প্রযুক্তি দেওয়া হলে যুক্তরাষ্ট্র তা খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেবে।
এর জবাবে চীন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ অর্থনৈতিক জবরদস্তি ও একপক্ষীয় নিপীড়ন।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে তাৎক্ষণিকভাবে এই ভুল শোধরানো এবং চীনা কোম্পানির ওপর এ ধরনের অযৌক্তিক নির্যাতন বন্ধ করা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ২০ মাস হয়ে গেল। ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার সবচেয়ে মারাত্মক হামলাগুলোর একটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার। ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি গ্রামে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এদিন অন্তত ৫২ জন নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তালিকার নাম এনটিটি লিস্ট। যেসব কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতির জন্য হুমকি হয়ে ওঠে, সেই সব কোম্পানিকে এই তালিকায় যুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানিকারকদের পক্ষে এসব কোম্পানির কাছে পণ্য বিক্রয়ের লাইসেন্স পাওয়া কঠিন হয়ে ওঠে।
অর্থসংবাদ/এসএম