বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এ লক্ষ্য অর্জনে দেশের রপ্তানিখাতকে বহুমুখীকরণ করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (০৯ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘চতুর্থ বাংলাদেশ লেদার ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদারগুডস ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং শো’-ব্লিস-২০২৩ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি) এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করার অন্যতম হাতিয়ার রপ্তানি বহুমুখীকরণ। বাংলাদেশ বর্তমানে এশিয়ার অন্যতম রপ্তানিমুখী দেশ হিসেবে বিশ্ববাজারে আবির্ভূত হয়েছে। আজকে চামড়াজাত পণ্য ও জুতার যেমন অবস্থা, তিন দশক আগে তৈরি পোশাকের এমন অবস্থা ছিল। ক্রেতাদের দ্বারে ঘুরতে হয়েছে। এখন তৈরি পোশাক বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, রপ্তানিমুখী প্রবৃদ্ধি সুসংহতকরণ এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিদেশি ক্রেতা-ব্র্যান্ডস ও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে উদ্ভাবনী নীতি প্রণয়ন ও ব্যবসাবান্ধব নীতি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি আয়কারী চামড়া, চামড়াজাত পণ্য সহায়তা করবে।
বাংলাদেশের পণ্যের কোয়ালিটি অনেক এগিয়ে গেছে, যা আন্তর্জাতিক মান সমুন্নত রাখছে। এসব পণ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরতে ব্র্যান্ডিংয়ের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, রপ্তানি আয়কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চামড়াজাত পণ্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্য সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ একটি নির্ভরযোগ্য গন্তব্য হিসেবে দ্রুত জায়গা করে নেবে।
মন্ত্রী বলেন, আগামী ১২-১৪ অক্টোবর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চর্তুথবারের মত ‘বাংলাদেশে লেদার ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং শো-ব্লিস-২০২৩’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ১২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর শুভ উদ্বোধন করবেন।
এলএফএমইএবির সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, করোনা মহামারী পরবর্তী সময়ে বিশ্ববাণিজ্য বড় পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে আন্তর্জাতিক ব্যান্ড এবং সোর্সিং প্রতিষ্ঠানসমূহ বিকল্প পরিকল্পনা ও সম্ভাবনাময় দেশগুলোর দিকে ধাবিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এ আন্তর্জাতিক সোর্সিং শো নতুন ক্রেতা ও ব্রান্ডসমূহ যারা চীন, ভিয়েতনামের বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ এবং ইন্দোনেশিয়ার দিকে ধাবিত হচ্ছে। প্রদর্শনীর পাশাপাশি তিনটি ব্রেকআউট সেশনও অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ২০০ এর অধিক শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা, নীতিনির্ধারক এবং দেশি-বিদেশি অতিথিরাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেবেন।
এলএফএমইএবির উপদেষ্টা ও এমসিসিআইয়ের সভাপতি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, চামড়াজাত পণ্য এবং পাদুকা সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ দ্রুত একটি নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। এ খাতে বাংলাদেশের সক্ষমতা ও সম্ভাবনাসমূহ প্রদর্শনের মাধ্যমে ব্লিস-২০২৩ নতুন ব্যবসার সুযোগ উন্মোচন করে দেবে।
অর্থসংবাদ/এসএম