রেলমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত আমাদের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আগামী ৯ নভেম্বর আপনার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) উপস্থিতিতে এই রেলপথের উদ্বোধন করতে পারব।
তিনি বলেন, একই সঙ্গে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে। অতীতে আমরা যে সময় অতিক্রম করেছি, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের মতো বৈরী পরিবেশে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও রেলওয়ে প্রকল্পগুলো কিন্তু চলমান ছিল। প্রচেষ্টার ফলে সেই রেলপথের কাজ ইতোমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। আগামী ১২ নভেম্বর আপনার উপস্থিতিতে আমাদের কক্সবাজারের প্রকল্পটি উদ্বোধন করতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, একটি দেশের উন্নতি করতে হলে ভারসম্পন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা অতি গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা করে ২০১১ সালে রেল মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়। তারপর রেলকে গড়ে তোলার জন্য আপনি ধীরে ধীরে প্রকল্প গ্রহণ করেছেন এবং সেগুলো বাস্তবায়ন করতে চলেছেন। আপনার নেতৃত্বে আমরা এ টেকসই এবং আধুনিক রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারবো। আমরা জানি, যে দেশ যত উন্নত সেই দেশে রেল ব্যবস্থা তত উন্নত। আমরা আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেই পরিকল্পনা সরকারের আছে। আপনার সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে স্বপ্ন, সেই স্বপ্ন আপনি একে একে বাস্তবে রূপ দিচ্ছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন রেলপথ সচিব ড. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।