বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে অংশীদার হতে চায় দ. কোরিয়া

বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে অংশীদার হতে চায় দ. কোরিয়া

বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত ক‌রে‌ছেন ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক। পাশাপা‌শি বাংলা‌দে‌শে দেশটির চলমান অবকাঠামো প্রকল্প খুব সহজে অগ্রগতি হ‌বে ব‌লেও জানান রাষ্ট্রদূত।


মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর এক‌টি হোটেল কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা-সিএসআর কার্যক্রম ও বিনিয়োগ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এক সেমিনারে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত ক‌রেন রাষ্ট্রদূত।


রাষ্ট্রদূত সিক ব‌লেন, গত পাঁচ দশকে কোরিয়া ও বাংলাদেশ বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উন্নয়ন এবং জনগণের মধ্যে যোগা‌যোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দৃশ্যমান হ‌য়ে‌ছে।


তিনি বলেন, বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়নে অপার সম্ভাবনা দেখিয়েছে। কোরিয়া বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চায়, যেমনটি আমরা আরএমজি সেক্টরে করেছি। আমি দৃঢ়ভাবে আশা করি, অনেক চলমান অবকাঠামো প্রকল্প খুব সহজে অগ্রগতি হ‌বে এবং বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে।


রাষ্ট্রদূত বলেন, বিগত ৫০ বছরের অর্জনের ওপর ভিত্তি করে কোরিয়া এবং বাংলাদেশ উভয়ই একটি উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এ গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক উদযাপন করছি। এ যাত্রায় সিএসআর যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে।


সিএসআর প্রস‌ঙ্গে সিক বলেন, সিএসআর শুধু একটি নিছক শব্দ নয়, আমরা যে কমিউনিটির সঙ্গে কাজ করি তার প্রতিদানে প্রতিশ্রুতি।


সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ড বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন।


বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে দুই শতাধিক কোরিয়ান কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইয়ংওয়ান, স্যামসাং, এলজি, উরি ব্যাংক ইত্যাদি। এসব প্রতিষ্ঠানের সিএসআর কার্যক্রমে আমরা খুব খুশি। কেননা এসব প্রতিষ্ঠান শুধু লাভের দিক বিবেচনা ক‌রে না, বরং মানবতার দিকেও লক্ষ্য রাখে।


বিডার চেয়ারম্যান বলেন, যেকোনো বিদেশি বিনিয়োগকারীর প্রথম লক্ষ্য থাকে লাভ। আর সেটা বাংলাদেশে সম্ভবও। এদেশে বিনিয়োগ শতভাগ নিরাপদ। আমরা বিদেশি বিনিয়োগ বান্ধব নীতি প্রতিনিয়ত আপডেট করছি।


বিডার চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, কর্নফুলী টানেল, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের মাধ্যমে আগামী দুই বছরের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও বাড়বে। ফলে বিনিয়োগ আরো সহজ হবে।


বিডার পরিচালক জসিম উদ্দিন খান বলেন, বাংলাদেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বৈষম্য নেই। উভয়ে সমান সুযোগ পেয়ে থাকেন। আমরা সব সময়েই বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই। এখানে বিনিয়োগকারীরা সহজলভ্য শ্রমের সুযোগ নিয়ে যেকোনো পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে পারে।


সেমিনারে বাংলাদেশে কোরিয়ান কোম্পানির সিএসএর কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। একইসঙ্গে কোরিয়ান কোম্পানির সিএসআর রিপোর্ট উদ্বোধন করা হয়।


অর্থসংবাদ/এসএম

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
নির্বাচন ঘিরে সেন্টমার্টিনের পর্যটন বন্ধ ৩ দিন
মেট্রোরেলে মাছ-মাংস-সবজি পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা
জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু