কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর বিষয় ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো বা সিআইবি তথ্য। এখন থেকে এ তথ্য ব্যাংকের শাখা পর্যায় থেকে হালনাগাদ করা যাবে। এর সঙ্গে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।
বুধবার (১১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক।
মুখপাত্র বলেন, সম্প্রতি ঋণ খেলাপিদের তথ্য হালনাগাদের (সিআইবি রিপোর্টিং) ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে তার সঙ্গে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত কর্মকাণ্ডের অংশ এবং ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। ব্যাংকের শাখা পর্যায়ে থেকে সিআইবির তথ্য পরিবর্তন করার যে খবর প্রচার হচ্ছে তা সঠিক নয়।
ব্যাংকের শাখা পর্যায়ে থেকে তথ্য হালনাগাদ করার বিষয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে তা নিরসনেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে জানিয়ে মেজবাউল হক বলেন, শাখা থেকে তথ্য হালনাগাদ করলেই সিআইবি তথ্য পরিবর্তন হয়ে যাবে না এ জন্য আলাদা অনুমোদনকারী কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন। তাই কেউ চাইলেই সিআইবির তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন এই ধারণা সঠিক নয়।
মেজবাউল হক আরও বলেন, আগে সিআইবি রিপোর্ট পরিবর্তন করতে বা কোন সংশোধনী থাকলে তা সম্পন্ন করতে ১৫ থেকে ৩০ দিন সময় লেগে যেত। কোনো গ্রাহকের জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য ভুল হলেও সেটা সংশোধন করতে হতো কেন্দ্রীয় ব্যাংককেই। তবে নতুন সিদ্ধান্তের কারণে শাখা পর্যায়ে থেকেই কর্মকর্তারা নিজেদের তথ্য হালনাগাদ করে পাঠাতে পারবেন।
ভুল তথ্য দিয়ে সিআইবি রিপোর্ট ভালো করার চেষ্টা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভুল তথ্য দিলে সফটওয়্যার সাপোর্ট করবে না।
তিনি বলেন, দ্রুতই আমরা ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের দিকে আগাচ্ছি। তাই আমাদের সকল সিস্টেম ডিজিটাল হওয়া খুবই প্রয়োজন। ভবিষ্যতে কোনো গ্রাহকের সার্বিক তথ্য যাচাই করতে গেলে অনলাইনে তার পর্যাপ্ত তথ্য থাকা প্রয়োজন। তাই সিএবি সিস্টেমকে আরও সক্রিয় করার জন্য গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন এই নিয়ম চালু করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের বাংলাদেশ ব্যাংকের আইসিটি ডিপার্টমেন্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক দেবদুলাল রায় বলেন, সিআইবি সংক্রান্ত রিপোর্ট সংগ্রহের ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে তা কোনো বিড়ম্বনা তৈরি করবে না। বরং তথ্য হালনাগাদ প্রক্রিয়া সহজ এবং দ্রুত সময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, আগে ব্যাংকে তিন থেকে চারটি ইউজার আইডি দেওয়া হতো। এখন সেটি বাড়ানো হয়েছে। এর বাইরে নতুন কিছুই করা হয়নি।
অর্থসংবাদ/এসএম