পুঁজিবাজারে আসছে ওষুধ রপ্তানিতে শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠান

পুঁজিবাজারে আসছে ওষুধ রপ্তানিতে শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠান
বুক-বিল্ডিং পদ্ধতির অধীনে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি টেকনো ড্রাগস লিমিটেড। টানা দুইবার ওষুধ রপ্তানিতে শীর্ষ তিনে উঠে এসেছিল প্রতিষ্ঠানটি। পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলনকৃত টাকার বড় অংশ নতুন মেশিনারি ক্রয়, ভবন নির্মাণ ও আংশিক ঋণ পরিশোধে খরচ করবে কোম্পানিটি।

শর্ত অনুযায়ী শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল একাত্তরে রোড শো’র আয়োজন করে টেকনো ড্রাগস। এতে যোগ্য বিনিয়োগকারী ও সংশ্লিষ্টদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাদের সামনে কোম্পানির আর্থিকচিত্র, ভবিষ্যত পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ জালাল উদ্দিন আহমেদসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন টেকনো ড্রাগসের চেয়ারম্যান খালেদা আক্তার খান, পরিচালক মেহরীন আহমেদ, কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালকগণ, কোম্পানী সচিব দেবাশীষ দাশ গুপ্ত, চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার পীযুষ কুমার চক্রবর্তীসহ কোম্পানির অন্যান্য কর্মকর্তারা।



টেকনো ড্রাগসের আইপিওর রেড হেয়ারিং প্রসপেক্টাস অনুযায়ী, কোম্পানিটি ২০০৯ সালে নিবন্ধিত হয়। তবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে পরের বছর ২০১০ সালের ১ জুলাই। বর্তমানে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৯৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা। সর্বশেষ হিসাববছরে কোম্পানিটি ১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা নিট মুনাফা করেছে।

গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে (ইপিএস) ২ টাকা ৮ পয়সা। এসময় শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৭ টাকা ৭৪ পয়সা।

রোড শো’তে টেকনো ড্রাগসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ জালাল উদ্দিন জানান, অনেকদিন পরিশ্রম করে এখানে এসেছি। প্রথমে যাত্রা শুরু করি ভেটনারি প্রোডাক্ট দিয়ে। দেশে ভেটনারির প্রবর্তক টেকনো ড্রাগস। পরবর্তীতে মানুষের ওষুধ নিয়ে কাজ শুরু করি। ২০১৪ সালে ওষুধ রপ্তানিতে চতুর্থ স্থান অর্জন করি আমরা। এরপরে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে তৃতীয় স্থান অর্জন করতে সক্ষম হই। ডলার সংকটের কারণে গত দুই বছর আমরা কিছুটা পিছিয়ে পড়ি।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের ঘাবড়ানোর কোন কারণ নেই। আমরা অনেক পরিশ্রম করি। আপনারা সাথে থাকলে অনেকদূর এগিয়ে যাবে টেকনো ড্রাগস।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব চলছে। অনেকে ধারণা করছিলো আইপিওর কারণে বাজারে এই অস্থিরতা। তবে বাজার ভালো হওয়ার পেছনে আইপিওর কোন প্রভাব নেই।

তিনি আরও বলেন, বাজারের সমস্যা সমাধানে অনেক নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এরপরও আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। বাজার পুরোটা মনস্তাত্ত্বিকভাবে চলে। পুঁজিবাজার ও আইপিও নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে নতুন বিনিয়োগকারী টানতে আইপিও দরকার আছে।

টেকনো ড্রাগসের ইস্যু ম্যানেজার, রেজিষ্টার অফ ইস্যু, আন্ডাররাইটারসহ মার্চেন্ট ব্যাংক, ফান্ড ম্যানেজার, বন্ড ম্যানেজার, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী, ডিএসই-সিএসই ট্রেক হোল্ডার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এনবিএফআই এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা রোড শো’তে উপস্থিত ছিলেন।

অর্থসংবাদ/ডব্লিও.এস

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত