অন্যদিকে সমাজের বিত্তবান মানুষদের অনেকে এখনো গৃহবন্দী জীবন-যাপন করছেন। তাঁরা বাইরে তো যাচ্ছেন-ই না, আবার বাড়িতেও কাউকে ঢুকতে দিচ্ছেন না। ফলে বাজারে অনেক কিছুর চাহিদা পড়ে যাচ্ছে।
সাধারণ ছুটি ঘোষণার কারণে অর্থনীতিতে সব ধরনের বিরূপ প্রভাবই পড়েছে, কিন্তু তাতে ভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ ঠেকানো যায়নি। স্বাস্থ্যবিধি প্রয়োগ না করার কারণে এমনটি ঘটেছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ‘কোভিড-১৯ ও উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে এ সব কথা বলেন অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, দেশের কর্মশক্তির প্রায় ৮৬ শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করে। ফলে সাধারণ ছুটির কারণে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হয়েছে এই খাতের কর্মীরা। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, সবজি বিক্রেতা এই শ্রেণি সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হয়েছে। এর মধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছে প্রবাসী আয় ও তৈরি পোশাক রপ্তানি। তবে অর্থনীতিকে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে গ্রামাঞ্চলে অকৃষি খাত ও শহরের অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতকে পুনরুজ্জীবিত করা দরকার। এ সব খাতেই সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয়, সে কারণে এ সব খাতের পুনরুজ্জীবন মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধির চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।
অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতকে প্রাতিষ্ঠানিকতার বাতাবরণে নিয়ে আসতে হবে। দুই খাতের মধ্যকার ব্যবধান কমাতে হবে তাহলে এদের জীবন আর অরক্ষিত থাকবে না।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সাধারণ ছুটি ঘোষণার কারণে অর্থনীতিতে সব ধরনের বিরূপ প্রভাবই পড়েছে, কিন্তু তাতে ভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ ঠেকানো যায়নি। স্বাস্থ্যবিধি প্রয়োগ না করার কারণে এমনটি ঘটেছে। অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়ার কারণে এখানে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সব সময় সহজ নয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থাপনা পেশ করেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ফ্রাঁসোয়া বুর্গেনন, ভারতীয় অর্থনীতিবিদ কুনাল সেন। অনুষ্ঠানে যোগ দেন সিপিডির চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদেরাও অংশ নেন।