চ্যালেঞ্জগুলো হলো- শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, প্রান্তিক উপকারভোগীদের জন্য গৃহীত নীতি বাস্তবায়ন না হওয়া, আর্থিক সুযোগ সুবিধায় প্রবেশগম্যতা না থাকা, বাজারে চাহিদা কমে যাওয়া ও অদক্ষ মানব সম্পদ।
সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে প্রতিষ্ঠানটি ‘দি লাইটক্যাসল বিজনেস কনফিডেন্স ইনডেক্স ২০২২-২০২৩ (বিসিআই)’ শিরোনামে প্রতিবেদনের পঞ্চম সংস্করণ প্রকাশ করে। এতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশে অস্বাভাবিকভাবে শিল্পের কাঁচামালের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ কারণে জিনিসপত্রের দামও মাত্রাতিরিক্তভাবে বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়। এভাবে মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ জীবন যাপনের খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে।
প্রতিবেদনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বেসরকারী খাতে যে প্রভাব পড়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরা হয়। এতে বেশ কয়েকটি সুপারিশও তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো- চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্যবসায়িক আস্থা বাড়ানো। টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপের পাশাপাশি প্রচারের কৌশল গ্রহণ করা। মুদ্রাস্ফীতি কমানো ও শিল্পে কাঁচামালের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা।
এ সম্পর্কে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, এই রিপোর্টে অর্থনীতির এমন কিছু সূচক উঠে এসেছে যা দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যত পরিস্থিতিকে তুলে ধরে। দেশের নীতি নির্ধারক, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা এই ‘বিজনেস কনফিডেন্স ইনডেক্স’ থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনগুলোতে কাজে লাগাতে পারেন।
অর্থসংবাদ/এমআই