ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি টোমো হোযুমি এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মুশফিকুর রহীম জাতীয় দূত হিসেবে ইউনিসেফে যোগদান করায় আমরা তাকে আন্তরিক অভ্যর্থনা জানাতে চাই। শিশু অধিকারের প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি তার সম্মান, মেধা ও উপস্থিতি দিয়ে তিনি সারা বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় ও মনে জায়গা করে নেবেন।’
ইউনিসেফের জাতীয় দূত হিসেবে মুশফিকুর রহিম শিশুদের অধিকার এবং যুবসমাজকে প্রভাবিত করে এমন বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে সহায়তা করবেন। ওইসব বিষয়ের মধ্যে রয়েছে শিক্ষার অধিকার, দারিদ্র্য ও বৈষম্যের প্রভাব এবং সহিংসতা, নির্যাতন ও শোষণের বিরুদ্ধে শিশুদের সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা।
শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করবেন বলে জানিয়ে মুশফিক বলেন, ‘শিশু অধিকার এবং ইউনিসেফের কাজ- দু'টোই আমার হৃদয়ের খুব কাছাকাছি এবং নিজের কথাগুলো ছড়িয়ে দিতে এটি আমার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। একজন ক্রিকেট খেলোয়াড় এবং একজন বাবা হিসেবে আমি শিশুদের জন্য, বিশেষ করে সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে থাকা শিশুদের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য মানুষকে একত্রিত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।’
এ বছর মুশফিকুর রহীম বর্ণবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের মধ্যে অর্থ সংগ্রহ প্রচেষ্টা ও অনুদান প্রদানে নেতৃত্ব দেওয়ার মাধ্যমে কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালে ঝুঁকির মুখে থাকা কমিউনিটি গুলোকে সহায়তায় সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। দেশব্যাপী লকডাউন চলাকালে তিনি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও মানুষকে ঘরে থাকতে, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশিকা অনুসরণ করতে এবং কোভিড-১৯ সম্পর্কিত ভুল তথ্য ছড়ানোর বিপদ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বাংলাদেশ সরকারের আহ্বানকে সমর্থন জানান।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী মুশফিকের জাতীয় দূত হওয়া নিয়ে বলেন, ‘আমরা খুব আনন্দিত যে মুশফিকুর রহিম শিশুদের দাবি-দাওয়া জোরালোভাবে তুলে ধরতে ক্রিকেটাঙ্গনের দীর্ঘকালীন ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। আমরা মনেপ্রাণে আশা করছি যে, ইউনিসেফের সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বাংলাদেশের শিশুদের স্বাস্থ্য ও সুন্দর জীবন গঠনে অবদান রাখবে।