তিনি বলেছেন, সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১০টির বেশি মর্টার ইরান ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে। এগুলো অনাবাসিক ও কৃষিক্ষেত্রে এসে পড়েছে। সৌভাগ্যের বিষয় এতে কেউ নিহত হয়নি।
ইরান স্পষ্টভাবে এই বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। দুই দেশকেই ইরানের সীমান্ত লঙ্ঘনের বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে তেহরান।
কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে নতুন করে সীমান্ত সংঘাত শুরু হওয়ার পরপরই ওই দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ। তারা আর্মেনিয়া ও আজারবাইজনকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় দু’দেশকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন।
১৯৮০’র দশকের শেষদিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দু’পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। আন্তর্জাতিকভাবে কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত হলেও আর্মেনিয়ার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে সেখানকার আর্মেনীয় বংশোদ্ভূতরা।