আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারা এ প্রকল্প তিনটি উদ্বোধন করেন।
প্রকল্প কর্মকর্তাদের মতে, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ভারতীয় ঠিকাদার টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু করে। ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথটিতে বাংলাদেশের অংশ ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার।
এদিকে, খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পটি ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের নভেম্বরে। প্রাথমিকভাবে, ২০২০ সালের মে মাসের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে এ প্রকল্পের সময় ও ব্যয় দুটোই বেড়েছে। ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৯০ কিলোমিটার রেললাইনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
গত সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন থেকে খালি কনটেইনার নিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেন ভারতের নিশ্চিন্তপুর স্টেশনে যাওয়ার মাধ্যমে চূড়ান্ত ট্রায়াল দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে গঙ্গাসাগর রেলস্টেশনে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশ অংশে ট্রেন চালানো হয়েছিল।
রেলপথ নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সম্যাকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার শরৎ শর্মা দ্য বলেন, 'এই রেলপথে ৭৯ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো যাবে। তবে যেহেতু বাঁক বেশি তাই হয়তো পূর্ণ গতিতে ট্রেন চালানো হবে না।'
২০১৮ সালের জুলাইয়ে আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই রেলপথের বাংলাদেশ অংশে আছে ছয় দশমিক ৭৮ কিলোমিটার।
করোনা মহামারিসহ অন্যান্য সংকটের কারণে দেড় বছরের প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে পাঁচ বছরেরও বেশি। রেললাইনের কাজ শেষ হলেও ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ভবন ও প্ল্যাটফর্মের চূড়ান্ত কাজ এখনো শেষ হয়নি।
অর্থসংবাদ/এমআই