আগামী বছর (২০২৪ সাল) হজে যেতে নিবন্ধন শুরু হবে আগামী ১৫ নভেম্বর। নিবন্ধনের শেষ সময় ১০ ডিসেম্বর। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ২০২৪ সালের হজের নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার (হজ এজেন্সি) হজযাত্রীরা ১৫ নভেম্বর থেকে নিবন্ধনের টাকা জমা দিতে পারবেন। নিবন্ধনের টাকা জমা নেওয়া হবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
চলতি বছরের মতো আগামী বছরও (২০২৪ সাল) বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
সরকারিভাবে আগামী বছর হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বিশেষ হজ প্যাকেজের মধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। সরকারি হজ প্যাকেজের সঙ্গে সমন্বয় করে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে।
প্রাক-নিবন্ধনের সময় নেওয়া ২৯ হাজার টাকা বাদে প্যাকেজের বাকি টাকা দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, নিবন্ধনের জন্য হজযাত্রীদের পাসপোর্টের মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকতে হবে। হজযাত্রীরা নিবন্ধনের আগে হজ প্যাকেজ সম্পর্কে অবহিত হয়ে নিবন্ধন করবেন, নিবন্ধনের পর প্যাকেজ পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে না। নিবন্ধনের পর হজে যেতে অসমর্থ্য হলে এরই মধ্যে ব্যয় করা অর্থ কর্তনের পর অবশিষ্ট অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।
‘হজের খরচ কোনো কারণে বাড়লে তা প্যাকেজ মূল্য হিসেবে গণ্য হবে এবং হজযাত্রীকে তা পরিশোধ করতে হবে। সৌদি আরবে হুইল চেয়ার ব্যবহারের প্রয়োজন হলে নিজ উদ্যোগে হুইল চেয়ার সংগ্রহ ও ব্যবহার করতে হবে। বিমান টিকিট পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজ দায়িত্বে টিকিট পরিবর্তন করতে হবে। সব হজযাত্রীর জন্য বিমানের ইকোনমি ক্লাসের টিকিট সরবরাহ করা হবে।’
হজযাত্রীর সুযোগ-সুবিধা উল্লেখ করে হজ এজেন্সি হজযাত্রীর সঙ্গে লিখিত চুক্তি সম্পাদন করবে। এজেন্সি তার নিবন্ধিত হজযাত্রীর সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ প্রতিস্থাপন করতে পারবে বলে নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
অর্থসংবাদ/এসএম