বিশ্বকাপে নিজের শেষ ম্যাচে ৩০৬ রান করেও অজিদের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে বড় ব্যবধানে হারলেও রান রেটে লাভ হয়েছিল টাইগারদের। তাও শঙ্কা ছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে ভারত-পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশেকে পাকিস্তান হতাশ করলেও ভারতের জয়ে উবে গেল সব শঙ্কা।
রোববার (১২ নভেম্বর) বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ১৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিক ভারত। ফলে ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিশ্চিতভাবে খেলতে পারবে বাংলাদেশ।
এর আগে টাইগারদের শেষ ম্যাচ থেকে জানা গিয়েছিল, বাংলাদেশ ৩০০+ রান করলে অস্ট্রেলিয়া তা যদি ২০.৪ ওভারের আগে পেরিয়ে যায়, তাহলেই কেবল রান রেটে শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে পড়বে বাংলাদেশ। তবে বাস্তবে তা সম্ভব হয়নি। মিচেল মার্শের বিধ্বংসী ১৩২ বলে ১৭ চার ও ৯ ছক্কায় ১৭৭ রান, ডেভিড ওয়ার্নার আর স্টিভ স্মিথ ফিফটিতেও তা সম্ভবপর হয়নি। অজিদের জিততে গেলেছে ৪৪.৪ ওভার। তাতে অন্তত শ্রীলঙ্কার পেছনে পড়েনি বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথম সবগুলো দল কমপক্ষে ২টি করে ম্যাচ জিতেছে। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডস সমান দুটি করে ম্যাচে জয় পেলেও, বাকি দুদলের চেয়ে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় অষ্টম হয়েছে টাইগাররা।
স্মরণকালের সবচেয়ে খারাপ বিশ্বকাপ কাটালেও বিশ্বকাপে এটিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাফল্য টাইগারদের। এর আগে ২০০৭ বিশ্বকাপে সুপার এইটে সপ্তম দল হিসেবে শেষ করেছিল বাংলাদেশ। আর ২০১৫ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয়াটাই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সাফল্য হিসেবে ধরা হয়। এবার লিগ পর্যায়ে অষ্টম স্থানে থেকে শেষ করল বাংলাদেশ।
অর্থসংবাদ/এসএম