তিনি বলেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) দশম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আজ সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইয়াও ওয়েন বলেন, ১০ বছর আগে চীনের প্রেসিডেন্টের এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে সফরের সময় বিআরআই উন্মোচন আন্তর্জাতিক সহযোগিতার একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। এর পর থেকে এক দশক ধরে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক ধারাবাহিকভাবে উন্নত হচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সহযোগিতা অনেক বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সহযোগিতা দিন দিন আরও বাড়বে। দুই দেশের তরুণদের দক্ষ করতে কাজ করছে চীন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন বলেন, বাংলাদেশ-চীনের সম্পর্ক একাত্তরের আগে ও পরে যেমন ছিল, তা আজকের মতো নয়। সেটা ছিল বৈশ্বিক রাজনীতিতে মেরুকরণের ফল। স্নায়ুযুদ্ধ অবসানের পর দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, সম্প্রতি চীনের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ কাজ করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ইয়াং হুয়ে বলেন, প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া সব ছবি প্রতিষ্ঠিত আলোকচিত্রীদের তোলা, এমন নয়। তবে পুরো প্রদর্শনীর সব ছবিতে স্পষ্ট হয়েছে দুই দেশের মধ্যকার আন্তরিকতার চিত্রটি।
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, বাংলাদেশ-চীনের মধ্যকার সুসম্পর্কের ইতিহাস খুঁজতে গেলে শত শত বছর আগের পর্যটক দার্শনিক হিউয়েন সাংয়ের প্রসঙ্গ উঠে আসে।
আলোচনা শেষে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। প্রদর্শনীর মূল আয়োজক বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাস এবং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাই। সহযোগী আয়োজক বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার এবং বাংলা বিভাগ চীন মিডিয়া গ্রুপ।
শিল্পকলার জাতীয় চিত্রশালায় প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকবে। শেষ হবে আগামী ২ ডিসেম্বর।
অর্থসংবাদ/এমআই