তিনি বলেন, ১৯৯০ সাল থেকেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে বাণিজ্যিক খাতে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি একটি ভয়াবহ ইঙ্গিত। জ্বালানি খাতে সুবিচার নিশ্চিত করতে হলে বাণিজ্যিক খাত থেকে তাকে সরিয়ে নিয়ে সেবা খাতে পরিণত করতে হবে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) প্রেসক্লাবে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কর্তৃক আয়োজিত ‘জ্বালানি রূপান্তরে সুবিচার চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় মূল বক্তব্য প্রদান করেন জ্বালানি বিষয়ক সাংবাদিক আরিফুজ্জামান তুহিন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন অর্থনীতি বিষয়ক গবেষক মাহা মির্জা, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম, অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ, ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভুইয়া প্রমুখ।
শামসুল আলম বলেন, ২০২৪ সালে জ্বালানি খাতের কি অবস্থা হবে তা নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি। যদি আমরা নূন্যতম ব্যয়ে এবং সমতার ভিত্তিতে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারতাম, তাহলে আজ এ সংকট তৈরি হতো না। আমাদের যদি রফতানি চলমান থাকতো, তাহলে আরো গ্যাস-কয়লা উত্তোলন হতো। কিন্তু তখন তা চেয়ে দেখা ছাড়া উপায় ছিল না। তবে জ্বালানি থাকার সুবিধাটাও আমরা পেলাম না, আমদানির পরিবেশ তৈরি করে একটা উন্নয়নের কাহিনী তৈরি করলাম। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।
বক্তব্যে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম বলেন, দেশে জ্বালানি সংকটের যে বিকল্প, তাতে আমরা নজর দেই না। এর বিকল্প হলো, নিজের দেশের সম্পদের দিকে তাকানো। বাংলাদেশের মাটির নিচে প্রচুর ভূসম্পদ রয়েছে। বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোও নিশ্চিত করেছে যে দেশে কি পরিমাণ গ্যাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য যেসব দেশের গ্যাসের সম্ভাবনা আমাদের মতো, তারা অনেকদূর এগিয়ে গেছে। কারণ তারা আমাদের মতো মাটির নিচে সম্পদ রেখে আমদানিতে ঝুঁকে যায়নি। সাগরের তলদেশে জ্বালানির সম্ভাবনা থাকা স্বত্বেও আমরা তারা যথাযথ ব্যবহার করতে পারছি না। অতীত থেকে বর্তমান কোনো সরকারই এই বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করে নি।
অর্থসংবাদ/এমআই