আজ রোববার (১১ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ পরামর্শ দেন তিনি।
অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, সব জায়গাতে আমাদের রেমিট্যান্সের ছোঁয়া চলে এসেছে। রেমিট্যান্সের যে টাকা দেশে আসছে তার সবগুলো কিন্তু খরচ হয় না। ব্যাংকিং সিস্টেমে অনেক লিকুইড ক্যাশ আছে। এই রেমিট্যান্স যারা পাঠাচ্ছেন তাদের উৎসাহ দিয়ে আপনাদের বাজারে নিয়ে আসতে পারেন।
তিনি বলেন, বিদেশে যেখানে বাংলাদেশি ভাই-বোনেরা আছেন, সেখানে আপনাদের ডিজিটাল আউটলেট ওপেন করেন। আপনাদের ডিজিটাল আউটলেট ওপেন করার জন্য যাবতীয় অনুমতি বা সহায়তা যতটুকু আমাদের পক্ষে সম্ভব সবটুকু আমরা করবো। আপনারা নিট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশি ভাই-বোনদের টাকা আনার ব্যবস্থা করেন। এর মাধ্যমে আপনারা হবেন সমৃদ্ধ এবং দেশও হবে সমৃদ্ধ।
ভার্চুয়াল এ আলোচনা অনুষ্ঠানে বিএসইসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমরা যদি একটা পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং স্বাস্থ্যকর অর্থনৈতিক অবস্থা দিতে পারি, এই বাজারে টাকার কোনো অভাব হবে না।
তিনি বলেন, কোভিড পরবর্তী সময়ের মধ্যেই আমরা যাতে লেনদেন কয়েকগুণ বাড়াতে পারি, এক হাজার কোটি টাকার আশেপাশে না, আমরা এটাকে দুই, তিন, চার, পাঁচ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করতে চাই। এ বিষয়ে আপনাদের (ব্রোকার) যেকোনো উপদেশ আমরা গ্রহণ করবো। আমরা সেই পর্যায়ে যদি সত্যি নিয়ে যেতে পারি, আপনাদের অনেক ব্রোকারেজ হাউজ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে। অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য ভালো হবে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়ন এখন এতো ভালো হয়েছে যেকোনো জায়গায় যেতে আগে যেখানে ১০ ঘণ্টা থেকে একদিন লাগতো, সেখানে এখন দুই থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে যাওয়া যায়। বিদ্যুৎ চলে গেছে ঘরে ঘরে। শোনা যাচ্ছে এক বছরের মধ্যে দেশের সম্পূর্ণ অংশে বিদ্যুৎ ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে যাবে।
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম জানান, আগে ব্রোকারেজ হাউসগুলো দৈনিক ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ লেনদেন করতে পারত। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা এটাকে ৮ লাখ টাকায় উন্নীত করার ব্যবস্থা করেছি। আমরা এ সংক্রান্ত চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পেয়ে গেছি। সুতরাং আপনারা নগদ লেনদেন এখন ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত করতে পারবেন।
তিনি বলেন, আমরা গত কয়েদিন ধরে সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেন কিছুটা কম দেখতে পাচ্ছি। তবে আমরা মনে করি যেহেতু প্রাইমারি মার্কেট একটু মুভমেন্ট হচ্ছে এবং আমাদের বেশকিছু জমে থাকা আইপিও’র অনুমোদন দেয়া হয়েছে, সে কারণে হয়তো প্রাইমারি মার্কেটে অ্যাক্টিভিটি একটু বেড়ে গেছে।
ডিবিএ’র সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক শেখ সামসুদ্দিন, ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান এবং বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান। অনুষ্ঠানে ‘ব্রোকার হাউসের সেবাসমূহ ও বিনিয়োগকারীর অধিকার’ বিষয়ে কি-নোট উপস্থাপন করেন ডিবিএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও।