২০২৪ সালের প্রথম তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি সুইজারল্যান্ড থেকে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সুইজারল্যান্ডার একটি কোম্পানি থেকে এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৬৯১ কোটি ৭৩ লাখ ২০৮ টাকা ব্যয়ে আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের প্রথম এলএনজি সুইজারল্যান্ড থেকে আনার অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা কমিটি।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান জানান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলাকে (২০২৪ সালের প্রথম) এলএনজি সুইজারল্যান্ড’র টোটাল ইঞ্জিনিয়ারিং গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬৯১ কোটি ৭৩ লাখ ২০৮ টাকা।
জানা গেছে, এলএনজি আমদানির জন্য বেশকিছু দেশের সঙ্গে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি রয়েছে। কিন্তু সরকার সংক্ষিপ্ত সময়ে এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা করে। এজন্য ২০১৯ সালে খোলাবাজার থেকে এলএনজি আমদানির লক্ষ্যে মাস্টার সেল অ্যান্ড পার্চেজ অ্যাগ্রিমেন্ট বা মিলিত ক্রয়-বিক্রয় চুক্তির (এমএসপিএ) পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে ২০২১ সালে জাপান, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য এবং দুবাইয়ের চারটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ক্রয়-বিক্রয় চুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অন্যদিকে গ্যাস সংকটের কারণে গত কয়েক বছর বাসাবাড়ির পাশাপাশি শিল্পেও নতুন সংযোগ বন্ধ রাখছে সরকার। প্রাকৃতিক গ্যাসের সংকট বিবেচনায় ২০১৮ সালের ২৫ এপ্রিল এলএনজি আমদানি শুরু করে সরকার। সামিট এলএনজি ও যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলারেট এনার্জির স্থাপন করা ভাসমান টার্মিনালের (এফএসআরইউ) মাধ্যমে আমদানি করা এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে।
এদিকে, বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর ওপর ৮৩৮ দশমিক ৪০ মিটার সেতু নির্মাণের পূর্ত কাজ যৌথভাবে এমবিইএল এবং এসইএল-কে দিয়ে করার অনুমোন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৪৪ কোটি ২০৯ টাকা।