গতকাল বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানান, আগামী জুন মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশ নেমে আসবে। তিনি বলেন, ব্যাংক খাত থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে প্রতিদিন ৭০০-৮০০ কোটি টাকা ঢুকছে। ঋণ করাকে আরও খরুচে করা হয়েছে। এতে গত মাসে (নভেম্বর) মূল্যস্ফীতি কমেছে।
এদিকে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আজ ভ্যাট দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি মূল্যস্ফীতি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা মূল্যস্ফীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ফেলেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগে গত মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছে। এ মাসে (ডিসেম্বর) মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের নিচে নেমে আসবে। চলতি অর্থবছর শেষে তা সাড়ে ৭ শতাংশে নামবে।
সরকারের দুজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা দুটি আলাদা অনুষ্ঠানে আগামী জুন মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমানোর দুটি লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন। তাতে মূল্যস্ফীতি কমানোর বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে আশার বাণী হলো, উভয়ই জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার কথা বলেছেন।
জিনিসপত্রের দাম বাড়লে জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যায়। তা মূল্যস্ফীতি দিয়ে প্রকাশ করা হয়। টানা ৯ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে আছে। এটি বেশ উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ ছিল। পরের মাসে তা ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশে উঠে যায়। এরপর তা আর ৯ শতাংশের নিচে নামেনি। সর্বশেষ গত নভেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। গত আগস্ট মাসের পর থেকে টানা চার মাস ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশের ওপরে রয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই