ফিচ এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের যেসব দেশের রেটিং করে থাকে, সেগুলোর মধ্যে প্রায় অর্ধেক দেশে আগামী বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। এ কারণে দেশগুলোতে নীতি বাস্তবায়ন ও অর্থনৈতিক সংস্কারের গতি কমে যেতে পারে।
অন্যদিকে কোরিয়া ও তাইওয়ানের মতো দেশে বর্তমানের মতো আগামী বছরেও ভূরাজনীতির প্রভাব কাজ করবে। এ ছাড়া সম্প্রতি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা কিছুটা কমেছে। তবে দুই দেশের সম্পর্ক আগামী বছরেও বেশ চ্যালেঞ্জিং থাকবে বলে জানিয়েছে ফিচ।
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস কমিয়ে নেতিবাচক করেছিল ফিচ রেটিং। ওই পূর্বাভাসে সংস্থাটি দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা ইস্যুয়ার ডিফল্ট রেটিং (আইডিআর) স্থিতিশীল থেকে নেতিবাচক (বিবি মাইনাস) করেছে। আইডিআর স্থিতিশীল থেকে নেতিবাচক হওয়ার অর্থ হচ্ছে, বাংলাদেশের খেলাপি হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি, তবে বাংলাদেশ এখনো তার ঋণের দায় মেটাতে বা বাধ্যবাধকতা পূরণে সক্ষম।
ফিচের সেপ্টেম্বরের রেটিং পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের অর্থনীতির বহিস্থ খাতের অবনতির ঝুঁকি রয়েছে। ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে, যেমন মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণের পদ্ধতি পরিবর্তন, ঋণদাতাদের সহায়তা নেওয়া—এসব করেও বিদেশি মুদ্রার মজুতের পতন ঠেকানো যায়নি বা বাজারে ডলারের সংকট মেটানো যায়নি। বাংলাদেশ ধীরে ধীরে এসব বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিলেও সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হয়নি।