দেশ দুটির মন্ত্রণালয়, খাত, সংস্থা ও স্থানীয় পর্যায়ে এসব সহযোগিতার চুক্তি হয়েছে। তবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সফরের পর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের এই ভিয়েতনাম সফর কৌতূহলের উদ্রেক করেছে।
মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অনেক পশ্চিমা কোম্পানি চীন ছেড়ে ভিয়েতনাম, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে চলে গেছে। তবে এসব বিনিয়োগ টানায় এর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ভিয়েতনাম। এরপর সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভিয়েতনাম সফরে গিয়ে সেমিকন্ডাক্টর খাতে বিনিয়োগের ঘোষণা দেন।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিচ্ছেদের পর ভিয়েতনাম হতে পারে পারে নতুন বাঘ। তাই চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের এই সফর জো বাইডেনের সফরের পাল্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এন ডট ভিয়েতনাম প্লাসের সূত্রে জানা যায়, চুক্তি ও সমঝোতাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে চীন-ভিয়েতনাম রেল যোগাযোগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধি। অর্থাৎ দুই দেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ চালুর বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে।
রেড রিভারের ওপর সেতু নির্মাণ করে চীনের ইউনান প্রদেশের সঙ্গে ভিয়েতনামের লাও কাই প্রদেশের সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যেও চুক্তি হয়েছে দেশ দুটির মধ্যে।
২০২৪-২৮ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কমিউনিস্ট পার্টি অব ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা জনপ্রিয়করণ কমিশন ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রচারণা বিভাগের চুক্তি হয়েছে। ধ্রুপদি সাহিত্যের অনুবাদ এবং প্রকাশের জন্যও তাদের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। দুই দেশের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। এ ছাড়া টনকিন উপসাগরে যৌথ পাহারা, অপরাধ প্রতিরোধ, ডিজিটাল সংযোগসহ আরও বিভিন্ন বিষয়ে দেশ দুটির মধ্যে চুক্তি হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই