বিদেশী ঋণের সুদে উৎসে কর অব্যাহতির বর্ধিত মেয়াদ ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য গ্রেস পিরিয়ড হিসেবে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন এনবিআর সংশ্লিষ্টরা। রাজস্ব আহরণ বাড়াতে চলতি অর্থবছরে এনবিআরের নেয়া বিভিন্ন পরিকল্পনার মধ্যে বিদেশী ঋণের সুদের ওপর ২০ শতাংশ উৎসে কর আরোপ অন্যতম। এ অর্থবছরেই প্রথমবারের মতো এ বিধি প্রণয়ন করে এনবিআরের আয়কর উইং।
রাজস্ব বোর্ডের কর্মকতারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর কাছ থেকে সরকারের নেয়া বিদেশী ঋণের ক্ষেত্রে এ উৎসে কর প্রযোজ্য হবে না। এর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে নেয়া ঋণও।
সম্প্রতি এক এসআরও-তে ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে বিদেশী ঋণের সুদের ওপর উৎসে কর অব্যাহতি দেয় এনবিআর। বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেড (এবিবি) এবং ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চলতি অর্থবছরের ৫ ডিসেম্বর এ-সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করে এনবিআর, যা ৩০ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়। ওই এসআরও-তে থাকা শর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ঋণের সুদ অগ্রিম পরিশোধের ক্ষেত্রে এ অব্যাহতি প্রযোজ্য হবে না এবং ঋণগ্রহীতাকে এনবিআরের দেয়া নির্দিষ্ট ছকে টিআইএন নম্বরসহ আবেদন করতে হবে।
অর্থসংবাদ/এমআই