আজ রবিবার ডানেডিনে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ডিএলএসে নির্ধারিত ৩০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ বলে ১০৫ রান করেছেন ইয়াং। বাংলাদেশের হয়ে ৬ ওভারে ২৮ রানে ২ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার শরিফুল ইসলাম। ডিএল মেথডে বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে ২৪৪ রানের।
টসের পরপরই ডানেডিনে বৃষ্টি নামে। তাতে প্রায় ১ ঘন্টা সময় নষ্ট হয়। ফলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে নেমে আসে ৪৬ ওভারে।
বৃষ্টির পর ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। ইনিংসের প্রথম ওভারেই কিউই শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। চতুর্থ বলটি অফ স্টাম্পের ওপর গুড লেংথে করেছিলেন এই বাঁহাতি পেসার। আউট সুইং করে বল বের হয়ে যাওয়ার সময় রাচিন রবীন্দ্রের ব্যাটের বাইরের দিকের কানায় লেগে মুশফিকের গ্লাভসে জমা পড়ে। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করা এই ওপেনার সাজঘরে ফেরেন ডাক খেয়ে।
এক বল পর আবারও উইকেটের দেখা পেয়েছেন শরিফুল। প্রথম ওভারের শেষ বলটি ব্যাক অব লেংথে করেছিলেন এই পেসার। এবারও আউট সুইংয়ে বিভ্রান্ত হয়েছেন ব্যাটার। সামনের পায়ে ভর করে অফের দিকে খেলতে গিয়ে স্লিপে এনামুল হক বিজয়ের হাতে ধরা পড়েন হেনরি নিকোলস। ২ বল খেলে রানের রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। প্রথম ওভারেই দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে স্বপ্নের মতো শুরু এনে দেন শরিফুল।
এরপর উইল ইয়াং ও টম লাথামের ব্যাটে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করে কিউইরা। স্বাগতিকরা যখন ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় তখন ডানেডিনে হানা দেয় বৃষ্টি। ১৪তম ওভারের খেলা চলাকালে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন আম্পায়ার।
মিনিট ত্রিশেক পর আবারও শুরু হয় খেলা। দ্বিতীয় দফা বৃষ্টিতে হারিয়ে যায় আরও ৬ ওভার। ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৪০ ওভারে।
দুই দফা বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলেও বেশিক্ষণ চালিয়ে যাওয় সম্ভব হয়নি। এই দফায় প্রায় ৬ ওভারের মতো খেলার পর ২০তম ওভার চলাকালে ডানেডিনে আবারও বেরসিক বৃষ্টির হানা। তাতে তৃতীয়বারের মতো বন্ধ হয় খেলা।
এবারও প্রায় আধা ঘণ্টা পর খেলা শুরু হয়। আরো একবার কোপ পড়ে ম্যাচের দৈর্ঘ্যে। এবার কমানো হয় ১০ ওভার। তিন দফা মিলিয়ে মোট ২০ ওভার কমেছে। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৩০ ওভারে।
তৃতীয়বার বৃষ্টি শেষে কিউইরা যখন ব্যাটিংয়ে নামে তখন তাদের ইনিংসের বাকি ছিল প্রায় ১০ ওভার। সেটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। ইয়াং ও লাথাম রীতিমতো ঝড় বইয়ে দেন! ২৬তম ওভারে লাথামকে বোল্ড করে ১৭১ রানের জুটি ভাঙেন মিরাজ। লাথাম ফেরেন ৭৭ বলে ৯২ রান করে।
তবে এরপর চ্যাপম্যানও উইকেটে এসে আক্রমণাত্মক খেলেছেন। তার ১১ বলে ২০ রানের ক্যামিও ছিল দারুণ কার্যকরী। লাথাম নার্ভাস নাইন্টিতে কাটা পড়লেও সেঞ্চুরি পেয়েছেন ইয়াং। মাইলফলক ছুঁতে তিনি খরচ করেছেন মাত্র ৮২ বল। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১০৫ রান।
শেষদিকে জ্যাক কার্সন-টম ব্লান্ডেলরা দ্রুতই ফিরেছেন। সৌম্য সরকারের করা ইনিংসের শেষ ওভারে রান আউট হয়েছেন ৩ ব্যাটার। তবে তার আগেই তাদের সংগ্রহ দুইশ ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশের হয়ে ৬ ওভারে ২৮ রানে ২ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার শরিফুল ইসলাম। তাছাড়া ৫ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে এক উইকেট পেয়েছেন মিরাজ।
অর্থসংবাদ/এমআই